সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, এটা দেখার জন্য আপনাকে কোনো প্রবেশ মূল্য দিতে হবে না। তবে যদি পানির বর্ণিল আলোকসজ্জা দেখতে চান তবে ১০০০ ইয়েন খরচ করতে হবে। পানির আলোকসজ্জা দেখতে যাওয়ার সময় তারা আপনাকে একটা করে ছাতা দিয়ে দেবে, ওটা আসলেই কাজে লাগে। এই প্রদর্শনীর প্রবেশ মুখে একটা বিশাল ঘণ্টা রয়েছে যা বাজাতে হলে ১০ জনের প্রয়োজন হয় এবং এর নিচে আছে একটি গরিলার মূর্তি। এটাকে ভালোবাসার ঘণ্টা (আই-নো-কামে) বলা হয়, জাপানি কপোত-কপোতীদের ওখানে যেতে দেখলাম। এটা জাপানের ঘণ্টাসমূহের মধ্যে ওজনের দিক থেকে দ্বিতীয়, ওজন ৩৬ হাজার ১৭০ কেজি, উচ্চতা ৩ দশমিক ৭২ মিটার। এটা পাহাড়ের ওপর এমন জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে, এর নিচ দিয়ে দিনেরবেলা ফুজি পাহাড় স্পষ্ট দেখা যায়। নিচে ইংরেজিতে একটা লেখা দেখলাম: The bell calls the living, Mourns the Dead, and overpowers the thunder, Mount Fuji echoes, the bell on the morning of cherry blossoms. আমরা যারা দেশে একটু প্রশান্তির জন্য পর্যটনসমৃদ্ধ স্থানে ঘুরতে যাই, তাদের অভিযোগ রাতে বিনোদনের জন্য কিছু নাই। আশা করি, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও এ রকম উৎসবের আয়োজন করা হবে। *লেখক পিএইচডি গবেষক, শিজুওকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান।