সিলেটের কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস হত্যাচেষ্টা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ আরো এক মাস পিছিয়েছে। আদালতের নির্দেশনা মতো খাদিজা গতকাল সিলেটের বিচারিক আদালতে হাজির না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় দফা তারিখ পেছানো হলো। সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইদুজ্জামান হিরো মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৬শে ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছে। এ দিন তিনি খাদিজাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে, মামলার নির্ধারিত তারিখ থাকায় সকালে সিলেটের আদালতে হাজির করা হয় আদালতে। সিআরপি থেকে ছাড়পত্র না পাওয়ায় সাক্ষ্য দিতে হাজির হতে পারেননি খাদিজা। এক মাসের মধ্যে তিনি আদালতে হাজির হওয়া সম্ভব নয় বলে চিকিৎসকরা আদালতে আবেদন জানিয়েছেন। সিলেট মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, আদালত খাদিজার বক্তব্য শুনতে চাইছেন। ন্যায় বিচারের স্বার্থে আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আরো সময় দিয়েছেন। খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় ইতিমধ্যেই ৩ কার্যদিবসে মামলার সাক্ষীর মধ্যে ৩৩ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। খাদিজা বর্তমানে ঢাকার সাভারের সিআরপিতে চিকিৎসাধীন। গত বছরের ৩রা অক্টোবর খাদিজা বেগম নার্গিসকে এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা ধোলাই দিয়ে বদরুলকে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন তার চাচা আবদুল কুদ্দুস। পরে ৫ই অক্টোবর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় বদরুল। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। ৩রা অক্টোবর দিবাগত রাতেই খাদিজাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকতে থাকতে বেঁচে ফিরেন খাদিজা। পরে তাকে থেরাপি দেয়ার জন্য সিআরপিতে নেয়া হয়। ৮ই নভেম্বর খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট নগরীর শাহপরাণ থানার এসআই হারুনুর রশীদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে ১৫ই নভেম্বর আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.