নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ডাঙ্গা গ্রামের তিন সন্তানের জননী ৯০ বছরের বৃদ্ধা মজিরন নেছা। কিন্তু তিনি এখন একা। নিজের চোখের সামনে একে একে এ পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন তার তিন সন্তান। মজিরন নেছার তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে গহির আলী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪০ বছর বয়সে। ছোটছেলে মতিয়ার (৩০) অসুস্থ্য হয়ে মারা যান ঢাকার একটি হাসপাতালে।
ওই বৃদ্ধার একমাত্র সম্বল মেঝ ছেলে আতিয়ার রহমান (৪০) শনিবার সকালে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।
শনিবার দুপুরে আতিয়ার রহমানের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়,মা মজিরন নেছা নির্বাক হয়ে বসে আছেন বাড়ির উঠানে। ছেলের মৃত্যুর খবরে শোকে পাথর তিনি।
আতিয়ার রহমানের স্ত্রী শরিফা বেগম (৩৫) আহাজারি করে কাঁদছিলেন আর বলছিলেন, ‘এইবার টাকা কামাই করি অটোভ্যান (ব্যাটারি চালিত রিকশাভ্যান) কিনিবার চাইল। সেইটাতো আর হইল না। ওই অটোভ্যান মোর লাগিবে না, তুই বাড়ি ফিরি আয়।’
এসময় প্রতিবেশীরা জানান, আতিয়ারের বাবা মারা গেছেন অনেক আগে। এরপর একে একে চলে গেল তার দুই ছেলে। এর পর বেঁচে থাকা একমাত্র ছেলে আতিয়ারের মৃত্যুতে এখন পুরুষশূণ্য ওই বাড়িটি।
এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার রাতে এলাকার প্রায় ৩০ জন শ্রমিক ডিমলা থেকে ঝুমুর পরিবহনের একটি বাসে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। শনিবার সকাল ৭টায় খবর আসে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে খাদে পড়ে আতিয়ার রহমান মারা যায়।
এ ঘটনায় একই গ্রামের ওমর ফারুক, একই উপজেলার গোমনাতি মাঝিয়ালী পাড়া গ্রামের মমিনুর রহমানের ছেলে আব্দুল মালেক (২৫) ও ডিমলা উপজেলার এনামুল হক (৫৫) মারা যায়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.