দুর্যোগের সময় নিরবিচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সাশ্রয়ীমূল্যে সম্প্রচার সেবা দেয়া সম্ভব হবে।
এছাড়াও প্রতিরক্ষা, দুর্যোগকালীন জরুরি যোগাযোগ, টেলিমেডিসিন, ই-লার্নিং,ই-গবেষণা, ভিডিও কনফারেন্স সুবিধা নিশ্চিত করবে বাংলাদেশের প্রথম নিজস্ব স্যাটেলাইটটি।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ থেকে কারিগরি ও বাণিজ্যিক সুবিধা নিশ্চিতের লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালার পর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
স্যাটেলাইটটির উৎক্ষেপণ প্রকল্প আয়োজিত এই কর্মশালায় বিটিআরসির উর্ধতন কর্মকর্তা, দেশের স্যাটেলাইট চ্যানেলের কারিগরি ও বাণিজ্যিক শাখা, ভি-স্যাট সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।
কর্মশালায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নির্মাণকারী ফ্রান্সের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান থ্যালেস এলেনিয়া স্পেসের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
স্যাটেলাইটটি থেকে প্রাপ্ত তরঙ্গ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পর বাকী অব্যবহৃত অংশ ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের আশা করছে বিটিআরসি। এছাড়া এই স্যাটেলাইট বৈশ্বিক টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরনির্ভরশীলতার অবসান ঘটাবে বলে প্রত্যাশা করছে সংশ্লিষ্টরা।
গত ১১ নভেম্বর বিটিআরসি ও থ্যালাস এলেনিয়া স্পেসের মধ্যে স্যাটেলাইট সিস্টেম ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ইতোমধ্যে ফ্রান্সের কান ও টুলুজে স্যাটেলাইট নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। স্যাটেলাইটের জন্য গাজীপুরের জয়দেবপুর এবং রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় ২ টি গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপনেরও কাজ এগিয়ে চলছে।
বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ এবছরের ডিসেম্বর নাগাদ মহাকাশে উৎক্ষেপিত হবে এবং ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু হবে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.