ভোটার না হলে, সেক্স নয়! কেনিয়ায় পুরুষদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হতে বাধ্য করতে এমন অভিনব দাবি নিয়ে হাজির হয়েছেন এক সংসদ সদস্য। তিনি নারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তাদের স্বামীরা ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত না হলে, তারা যাতে স্বামীর সঙ্গে যৌন মিলনে মিলিত না হন। আগামী ৮ই আগস্ট কেনিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর নির্বাচনকে সামনে রেখে নারী ভোটারদের প্রতি এমন আবেদন জানিয়েছেন উপকূলীয় শহর মোমবাসার এক নারী সংসদ সদস্য। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। খবরে বলা হয়, ওই নারী এমপি’র নাম মিশি এমবোকো। তার মতে, পুরুষদের সেক্স থেকে বঞ্চিত করাটাই হবে ভোট আদায়ের সেরা হাতিয়ার। এক জনসমাবেশে তিনি বলেন, ‘নারীরা, এটাই হলো সেরা কৌশল। আপনাদের উচিত এটি গ্রহণ করা। এটাই সেরা। তারা (স্বামীরা) আপনাদের ভোটার কার্ড না দেখালে, সেক্স থেকে বঞ্চিত করুন।’ ১৭ই ফেব্রুয়ারি হলো ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের শেষ তারিখ। এমবোকো আরও বলেন, সেক্স হলো শক্তিশালী এক অস্ত্র। এর ফলে অনিচ্ছুক পুরুষরা দ্রুত ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়ে আসবে। নিজের প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেন, এই ‘সেক্স বয়কটে’ ক্ষতিগস্ত হবেন না তার নিজের স্বামী। কারণ, তিনি ইতিমধ্যে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত। কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা পেতে আগামী নির্বাচনে লড়বেন। তাকে বিরোধী দলগুলোর একটি জোটের প্রার্থী চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন। এই জোটে আছে এমবোকোর দল ওডিএমও। এমবোকো বলেন, বিরোধী জোটের জয় পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে, যদি জোটের সমর্থকরা বিপুল হারে নিবন্ধিত হন। তবে ভোট না দিলে বা ভোটার না হলে, সেক্স থেকে বঞ্চিত করার এমন ডাক কেনিয়ায় নতুন নয়। ২০০৯ সালে নারী অ্যাক্টিভিস্টরা সপ্তাহব্যাপী এ ধরনের বয়কট পালন করেছিলেন। সেবার তারা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মোয়াই কিবাকি, প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওডিঙ্গা ও তাদের মিত্রদের প্রতি একে অপরের সঙ্গে সমঝোতা করার দাবি জানান।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.