নির্বাচনে পরাজয়ের পর নিউইয়র্কে বুধবার প্রথমবারের মতো সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। বাঁয়ে তাঁর স্বামী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন; ডানে রানিংমেট টিম কেইন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর দেওয়া প্রথম ভাষণে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন বললেন, আমি দুঃখিত। আমরা নির্বাচনে জিততে পারিনি। যে মূল্যবোধ আমরা ধারণ করি এবং আমাদের দেশের জন্য যে স্বপ্ন দেখি তা নিয়ে আমরা জিততে পারিনি।’
হিলারি বলেছেন, এটা কষ্টকর। এই বেদনা দীর্ঘ সময় ধরে থাকবে।
তবে পরাজয়ের কষ্টের কথা স্বীকার করলেও নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়ে খোলা মনে ট্রাম্পকে দেশ পরিচালনার সুযোগ দিতে সমর্থকদের আহ্বান জানান হিলারি।
গতকাল বুধবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে হিলারি ক্লিনটন এ কথা বলেন। দৃঢ়কণ্ঠে হিলারি বলেন, ‘আমাদের প্রচারণা কেবল এক ব্যক্তি বা একটি নির্বাচনের জন্য ছিল না। যে দেশটিকে আমরা ভালোবাসি তার জন্যই ছিল এ প্রচারণা।’
হিলারি তাঁর বক্তব্যে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানান। বলেন, আমি দেশের স্বার্থে তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চাই।
মার্কিন ইতিহাসে এবারের নির্বাচনের প্রচারণা ছিল সবচেয়ে তিক্ততাপূর্ণ। আর ভোটের ফলাফলেও এক বিভক্ত দেশের ছবি উঠে এসেছে। এ কথা স্মরণ করে হিলারি বলেন, ‘আমরা যা ভেবেছিলাম, যুক্তরাষ্ট্র তার চেয়ে অনেক বেশি বিভক্ত হয়ে পড়েছে এ নির্বাচনে।’ তিনি সবাইকে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে তাকানোর আহ্বান জানান।’
আবেগময় এই ভাষণের সময় করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে আয়োজন স্থল। এ সময় হিলারির সঙ্গে ছিলেন স্বামী ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এবং মেয়ে চেলসি। হিলারির আগে তাঁর রানিংমেট টিম কেইন বক্তব্য দেন।
ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানানোর কথা তুলে ধরে হিলারি ক্লিনটন বলেন, ‘গতরাতে আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছি। আমি তাঁকে বলেছি, দেশের স্বার্থে তার সঙ্গে কাজ করব।’ হিলারি বলেন, ‘আমি আশা করি, সব মার্কিন নাগরিকের জন্য তিনি একজন সফল প্রেসিডেন্ট হবেন।’ ৎ
নির্বাচিত হলে হিলারি হতেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। তবে সেই ইতিহাস সৃষ্টি হলো না। নির্বাচনের আগে কাচের দেয়াল ভেঙে দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। তবে তিনি তা ভাঙতে পারলেন না। তবে আশাবাদী হিলারি বলেন, ‘একদিন, কেউ একজন এই অচলায়তন ভাঙবে। আশা করি, আমরা এখন যা ভাবছি তারও আগে সেটি সম্ভব হবে।’
তিনি নারী ও মেয়ে শিশুদের উদ্দেশে বলেন, আমি আপনাদের একজন, এর চেয়ে আর অন্য কোনো কিছু আমাকে গর্বিত করে না। মেয়ে শিশুদের আশার বাণী শোনান সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তোমাদের গুরুত্ব ও শক্তি নিয়ে কখনোই সন্দিহান থাকবে না। এ বিশ্বে যে সুযোগ আছে এর প্রতিটিতে তোমার অধিকার আছে।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.