মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প পারমাণবিক অস্ত্র ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তাতে দুনিয়া আরো কম নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে। এমন সতর্কতা ব্যক্ত করেছেন বুলেটিন অব দ্য অ্যাটমিক সাইয়েন্টিস্ট। পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের এ সংগঠন নিজেদের প্রতীকী ‘কেয়ামতের ঘড়ি’র কাঁটা মধ্যরাতে আরো ৩০ সেকেন্ড এগিয়ে দিয়েছে। রূপক অর্থে ব্যবহৃত ঘড়িটি দ্বারা বোঝানো হয় এই গ্রহ ধ্বংসের কতটা কাছে চলে গিয়েছে মানবসভ্যতা। ২০১৫ সালে একবার পাল্টানো হয়েছিল সময়। পাঁচ মিনিট থেকে কমিয়ে ৩ মিনিটে নিয়ে আসা হয়েছিল। এখন কমানো হয়েছে আরো ৩০ সেকেন্ড। অর্থাৎ আর বাকি মাত্র আড়াই মিনিট। এ খবর দিয়েছে এএফপি। খবরে বলা হয়, দেশে দেশে ক্রুদ্ধ জাতীয়তাবাদের উত্থানের পাশাপাশি পারমাণবিক অস্ত্র ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য দুনিয়াকে আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিতে সহায়তা করছে বলে বুলেটিনের একটি বিবৃতিতে বলা হয়। এ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ১৫ জন নোবেল বিজয়ীসহ বহু বিজ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবী। প্রসঙ্গত, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে পরস্পরবিরোধী মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। একবার তিনি বলেছেন, এটি ভাঁওতাবাজি। পরে বলেছেন, এ নিয়ে তিনি খোলা মন নিয়ে থাকবেন। অপরদিকে পারমাণবিক ইস্যুতে ট্রাম্প ডিসেম্বরে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই নিজের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে হবে। নিজেদের পারমাণবিক শক্তিমত্তা উন্নীত করতে হবে মর্মে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় অমন মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের ওই বুলেটিনের বোর্ড অব স্পন্সর্স-এর চেয়ারম্যান লরেন্স ক্রস বলেন, ‘এ কক্ষে যারা আছেন তাদের জীবনকালে কখনই কেয়ামতের ঘড়ি মধ্যরাতের এত কাছাকাছি ছিল না। শেষবার যখন এই ঘড়ি বিপর্যয়ের এত কাছাকাছি ছিল সেটি হলো ৬৩ বছর আগে ১৯৫৩ সালে। তখন সোভিয়েত ইউনিয়ন নিজেদের প্রথম হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এর মাধ্যমে সূচনা ঘটে আধুনিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার।’ ১৯৪৭ সাল থেকে এ ঘড়ির কাঁটা একটি প্রতীকী ‘মধ্যরাত’ থেকে বাড়িয়ে বা কমিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করে আসছেন মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পৃথিবীকে কতটা ধ্বংসের কাছাকাছি ঠেলে দিচ্ছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.