বর্তমানে দুই বাংলার চলচ্চিত্রে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন জয়া আহসান। কখনো এপারে আবার কখনো ওপারে। দুই বাংলার পর্দায় উপস্থিতির পাশাপাশি গণমাধ্যমগুলোও মাতিয়ে রাখছেন নিত্যনতুন খবরে। বলা চলে রীতিমতো উড়ছেন জয়া। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে কলকাতার আরেক ছবিতে অভিনয়। সমপ্রতি জয়ার নতুন ছবি ‘বিসর্জন’-এর কাজ শেষ হয়েছে। ভারতের বাংলা ছবির জগতে এ সময়ের প্রখ্যাত নির্মাতাদের মধ্যে কৌশিক গাঙ্গুলী অন্যতম। ‘শব্দ’, ‘আরেকটি প্রেমের গল্প’, ‘অপুর পাঁচালী’, ‘ছোটদের ছবি’র এই নির্মাতার পরিচালনায় অভিনয় করলেন জয়া। ‘বিসর্জন’ ছবিতে তার চরিত্রের নাম পদ্মা। জয়া বলেন, কৌশিকদার পরিচালনায় কাজ করার ইচ্ছা আমার বহুদিনের। এর আগে ‘আবর্ত’-এ তার সঙ্গে অভিনয় করেছি। এবার তিনি আমার পরিচালক। ব্যাপারটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে। ছবির গল্প প্রেমনির্ভর হলেও প্রেক্ষাপট এক সময়ের পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ), তৎকালীন সীমান্তবর্তী এলাকা ও চেকপোস্টকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে এতে। ছবিটিতে জয়ার বিপরীতে আছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়। পরিচালক কৌশিককেও দেখা যাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে। এর আগে কলকাতায় অরিন্দম শীলের ‘আবর্ত’ (২০১৩) ও ‘ঈগলের চোখ’ (২০১৬), ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরীর ‘একটি বাঙালি ভূতের গপ্পো’ (২০১৫), সৃজিত মুখার্জির ‘রাজকাহিনী’ (২০১৫) ছবিতে অভিনয় করেন জয়া। শুধু অভিনয় করেই ক্ষান্ত নন। কলকাতায় তার অভিনীত প্রতিটি ছবির জন্যই আলোচিত হয়েছেন। মিডিয়ার গ্ল্যামারাস কজন তারকার মাঝে অন্যতম জয়া আহসান। মিষ্টি চেহারা দিয়ে জয় করে নিয়েছেন লাখো ভক্তের হৃদয়। একসময়ের ছোট পর্দার প্রিয় মুখ জয়া বর্তমানে কাজ করছেন চলচ্চিত্রে। শুধু দেশে নয়। কলকাতার ছবিতে অভিনয়ের কল্যাণে দারুণ আলোচিত তিনি। চলচ্চিত্রে জয়া প্রথম পা রাখেন ২০০৪ সালে ফারুকী পরিচালিত ‘ব্যাচেলর’ ছবিটির মাধ্যমে। এরপর ধারাবাহিকভাবে কাজ করেছেন ‘ডুবসাঁতার’, ‘গেরিলা’, ও ‘চোরাবালি’ ছবিতে। ‘গেরিলা’ ছবিটির মাধ্যমে তিনি ২০১১ সালে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নেন। এরপরে জয়া অভিনয় করেন নাটক নির্মাতা রেদওয়ান রনির ‘চোরাবালি’ ছবিতে। পরিচালকের এটি প্রথম ছবি হওয়ায় বেশ যত্ন নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করেন। তবে ছবি যেমনই হয়েছে। কিন্তু সেখানে জয়ার অভিনয় ছিল লক্ষ্য করার মতো। আর সেটাও প্রমাণ পাওয়া গেছে এ ছবিতে সেরা অভিনয়শিল্পী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভুষিত হতে দেখে। তবে একই ঘরানার ছবিতে অভিনয় করতে করতে যেন হাঁপিয়ে উঠেছিলেন জয়া। নিজেকে বৃত্তের বাইরে নিয়ে এলেন। আর সেটা করে দেখালেন বাণিজ্যিক ঘরানার ছবিতে নাম লেখিয়ে। ২০১৩ সালে সাফিউদ্দিন সাফি পরিচালিত ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’তে চুক্তিবদ্ধ হলেন জয়া। ছবিটিতে তার বিপরীতে নায়ক হিসেবে পেলেন ঢালিউডের কিং খান বলে খ্যাত শাকিব খানকে। আর সেই ছবির আরো একটি চমক হলো আরিফিন শুভ। প্রথমবারের মতো খল নায়কের ভূমিকায় শুভর আগমন ঘটে এই ছবিতে। শাকিব-জয়া-শুভ এই তিন জনের প্রেম রসায়নে ছবিটি হিট হয়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.