ওয়েলিংটনে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বড় পরীক্ষায় ফেলেছেন নিল ওয়াগনার। দ্বিতীয় ইনিংসে টানা বাউন্সার আর বুকসমান উচ্চতার বলে কাঁপিয়েছেন সবাইকে। ১৫ ওভার বোলিং করেছেন, এর ৮০ শতাংশ বলই ব্যাটসম্যানদের বুকসমান উচ্চতায় তুলেছেন। ওয়াগনারের তোপটা সবচেয়ে বেশি গেছে মুশফিকুর রহিমের ওপর দিয়ে। আঙুলে চোট নিয়ে খেলছিলেন, এর মাঝেই ওয়াগনারের অমন বোলিং তোপে পড়া!
শেষ পর্যন্ত টিম সাউদির এক বাউন্সারে হাসপাতাল থেকেও ঘুরে আসতে হয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ককে। সে ঘটনায় সবার মনে পড়ে গেছে ফিল হিউজের কথা। দুই বছর আগে শেফিল্ড শিল্ডে শন অ্যাবটের এক বাউন্সার কেড়ে নিয়েছে এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে। গত সোমবার মুশফিকের উইকেটের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ার পর সবাই তাই আঁতকে উঠেছিলেন কিছুক্ষণের জন্য। এর পর থেকেই চলছে আলোচনা, শর্ট বোলিংয়ে একটু বাড়াবাড়িই করে ফেলল কি নিউজিল্যান্ড? এমন প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত ক্রিকেট। নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটাররাও একমত হতে পারছেন না এ বিষয়ে। সাবেক উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ওয়ারেন লিস বোলারদের নিয়ন্ত্রণে আনার পক্ষে। তাঁর মতে বাউন্সার দিতে গিয়ে বাড়াবাড়ি করে ফেলছেন পেসাররা, ‘ব্যাটসম্যানকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে এ জন্য নয়, অনেক দিন ধরেই আমি এ নিয়ে চিন্তিত। আম্পায়াররা ইদানীং এ ব্যাপারে বোলারদের একটু বেশি ছাড় দিচ্ছেন। এটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।’
তবে লেন্স কেয়ার্নস কিন্তু বোলারদের এ অস্ত্র হাতছাড়া করতে দিতে রাজি নন। সাবেক পেস বোলিং অলরাউন্ডার নিজেই এমন দুর্ঘটনার শিকার। ১৯৮৫ সালে ওয়াসিম আকরামের এক বাউন্সারে খুলিতে চিড় ধরেছিল তাঁর। তবু বাউন্সারের কড়াকড়ি আইনে আপত্তি তাঁর, ‘আপনি যদি চিন্তা করেন এ ধরনের বলে মৃত্যুর ঘটনা…তাহলে শুধু হিউজের মর্মান্তিক বিদায়ের ঘটনাটিই আমার মনে পড়ছে। আপনি তো মানুষকে দুর্ঘটনার জন্য গাড়ি বা মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করতে বলতে শোনেন না। তবে এসব দুঃখজনক ঘটনা থেকেই শিক্ষা নিতে হবে, এখন তো অনেক শক্ত হেলমেট বানানো হচ্ছে।’ এএফপি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.