ডোপিং পরীক্ষার কারচুপিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে মদদ দেওয়ার অভিযোগে রিও অলিম্পিকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে রাশিয়াকে। বিশ্ব মাদকবিরোধী সংস্থার (ওয়াডা) নতুন এক প্রতিবেদন প্রকাশের পর এমন কঠোর সিদ্ধান্তই নিতে পারে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। আজ মঙ্গলবার আইওসির এক জরুরি সভা শেষে জানা যাবে রাশিয়ার অলিম্পিক ভাগ্য।
রাশিয়ার ডোপিং কেলেঙ্কারি নিয়ে ওয়াডার জন্য সাম্প্রতিক এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন কানাডার অধ্যাপক রিচার্ড ম্যাকলারেন। সেখানে বলা হয়েছে, অ্যাথলেটদের ডোপিং পরীক্ষার কারচুপিতে রাষ্ট্রীয়ভাবেই মদদ দিয়েছে রাশিয়া। পাঁচ বছর ধরেই ব্যাপারটি চলে আসছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।
২০১০ ও ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দুটি শীতকালীন অলিম্পিক, ২০১৩ সালের বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ডোপিং পরীক্ষায় কারচুপি করেছিলেন রাশিয়ার অ্যাথলেটরা। আর এ কাজে রাশিয়ার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সহায়তা করেছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে ম্যাকলারেনের প্রতিবেদনে।
ভয়াবহ মাত্রার ডোপিং কেলেঙ্কারির কারণে গত বছর রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকস থেকে। এবার রিও অলিম্পিকেও নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে রাশিয়া। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কাছে এমন সুপারিশই করেছে ওয়াডা। সংগঠনটির নির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘২০১৬ সালের রিও অলিম্পিক থেকে রাশিয়ান অলিম্পিক কমিটি ও রাশিয়ান প্যারা-অলিম্পিক কমিটিকে নিষিদ্ধ করা উচিত।’ আইওসি অ্যাথলেট কমিশনের ব্রিটিশ সদস্য অ্যাডাম পেনগিলিও রাশিয়াকে নিষিদ্ধের দাবি তুলেছেন।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সভাপতি টমাস বাখও ইঙ্গিত দিয়েছেন শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার। মঙ্গলবারের জরুরি সভার কথা ঘোষণা করতে গিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নিতে আইওসি দ্বিধা করবে না।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.