এক বছরে টেস্টে তিনটা ডাবল সেঞ্চুরি। এক হাজারের ওপর রান। অধিনায়ক হিসেবে ভারতকে দারুণ সব টেস্ট জয়ে নেতৃত্ব দেওয়া—এত কিছুর পরেও আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট দলে বিরাট কোহলি নেই! ব্যাপারটা তুমুল সমালোচনার জন্ম দিয়েছে ক্রিকেট দুনিয়ায়। কোহলিকে যদিও আইসিসি বর্ষসেরা ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হিসেবে রেখেছে, কিন্তু বর্ষসেরা টেস্ট দলে কোহলির অনুপস্থিতি আইসিসির এই নির্বাচনকে নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে টেস্টে নাকানিচুবানি খাওয়া ইংল্যান্ড দলের চারজন আছে এই একাদশে। এ নিয়েও চলছে তীব্র সমালোচনা। টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়েছে, এই দলটাকে আখ্যা দেওয়া হয়েছে ‘একটি কৌতুক’। সমালোচনার মুখে আইসিসি নাকি এই দলে পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে। যদিও এখন পর্যন্ত এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। আইসিসির এই বর্ষসেরা দলটি ঘোষিত হয়েছে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে। কিন্তু গত আট টেস্টে মাত্র একটিতে জেতা ইংল্যান্ড দলের চারজনকে এই দলে রাখা আর তাঁদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বেশি করে চোখে বিঁধছে। মানুষ বর্তমানটাই তো মনে রাখে বেশি। ২২ ডিসেম্বর ঘোষিত হয় আইসিসির বর্ষসেরা পুরস্কার। এই পুরস্কারের সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয় বর্ষসেরা টেস্ট ও ওয়ানডে দল। ভারতের কাছে ৪-০ ব্যবধানে হারার ইংল্যান্ড দলের চারজন আছেন আইসিসি একাদশে—অ্যালিস্টার কুক, জো রুট, জনি বেয়ারস্টো ও বেন স্টোকস। ভারতের বিপক্ষে সিরিজে উড়ে যাওয়ার আগে ইংল্যান্ড বাংলাদেশ সফরেও একটি টেস্ট হেরেছে, অন্যটি প্রায় হেরেই গিয়েছিল। কুক বর্ষসেরা টেস্ট দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। উপমহাদেশ সফরটা একদমই ভালো যায়নি কুকের দলের। বাংলাদেশ ও ভারত সফরের সাত টেস্টে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে তাঁর দল—চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই জয়ও কোনোমতে পাওয়া, মাত্র ২২ রানের। বাংলাদেশ সে ম্যাচটা জিতে গেলে হোয়াইটওয়াশের লজ্জাতেই পড়তে হতো ইংল্যান্ডকে। ঢাকার পরের টেস্টটা বাংলাদেশ জিতে নেয় অনায়াসেই। ভারত সফরে রাজকোটের প্রথম টেস্টটায় দারুণভাবে ড্র করলেও পরের চারটি টেস্টে স্রেফ উড়ে গেছে ইংলিশরা। ইংলিশ ক্রিকেটারদের পক্ষেও এ বছর ১৭টি টেস্ট খেলা ইংলিশ দলের দারুণ কিছু পারফরম্যান্স তো ছিলই। বেশি টেস্ট খেলার কারণে স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের পারফর্ম করার সম্ভাবনা বেড়ে গেছে অন্যদের চেয়েও । কিন্তু এত কিছুর পরেও তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি করা কোহলি যদি টেস্ট দলে না থাকেন, সেটি তো সমালোচনার আগুন জ্বালিয়ে দেবেই। আইসিসি এখন বর্ষসেরা দলে পরিবর্তন আনে কি না, সেটাই দেখার।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.