এবার যশোরে জেএসসি পরীক্ষার্থীকে হাত-পা ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষক পঞ্চাশোর্ধ ৪ সন্তানের জনক। প্রভাবশালী এই ব্যক্তি প্রকৃত ঘটনা চাপা দিতে বিভিন্ন মহলে দেনদরবার চালিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে গত ৫দিন আগে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও মামলা করা ছাড়া আর এগুতে পারিনি অসহায় পরিবারটি। এদিকে ধর্ষণের বিচার চেয়ে মামলা করায় জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ধষিতা ও তার পরিবার। যশোর সদর উপজেলার পাগলাদহ গ্রামে নানাবাড়ি থেকে স্থানীয় স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পড়–য়া মেয়েটিকে বেশ কয়েকদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল একই গ্রামের মালোপাড়ার বাসিন্দা চার সন্তানের জনক পঞ্চাশোর্ধ আবদুল খালেক। একপর্যায়ে গত ২৬শে অক্টোবর রাত আটটার দিকে খালেক মেয়েটিকে নানাবাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি বাগানে নিয়ে হাত-পা বেধে ধর্ষণ করে। এরপর সে ঘটনা ধামাচাপা দিতে রাতভর মেয়েটিকে বাড়িতে আটকে রেখে কাউকে কিছু বললে হত্যার হুমকি দিয়ে পরের দিন সকালে ছেড়ে দেয়। তাই ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়নি পরিবারের সদস্যরা। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় শনিবার রাতে মেয়েটির মা বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় খালেকের বিরুদ্ধে মামলা করেছ। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নির্যাতিত মেয়েটির মা-বাবা। তারা ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এদিকে, সোমবার ২৫০ শয্যা যশোর জেনারেল হাসপাতালে মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জানিয়েছেন, শারীরীক পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর বলা যাবে মেয়েটির সাথে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছে। কোতোয়ালি থানার ওসি বলেন, ভুক্তভোগি পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার পর থেকে আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে। তবে অভিযুক্ত আসামী খালেক পলাতক থাকায় পুলিশ তাকে আটক করতে পারেনি। এদিকে মামলা পর থেকে বাদী ও ধর্ষিতাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে খালেক ও তার লোকজন। স্থানীয়রা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পুলিশ আসামী ধরার নামে চোর পুলিশ খেলা করছ্ েখালেক বাড়িতেই আছে। অথচ পুলিশ তাকে খ৭ুজে পাচ্ছে না বলে প্রচার করছে। মামলার পর থেকে ধর্ষিতা ও তার মা-বাবা বাড়ি ছাড়া। খালেক ও তার লোকজন মামলা তুলে না নিলে তাদেরকে গ্রামে ঢুকতে দেবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। এদিকে ধর্ষিতা মেয়েটি স্থানীয় হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। মঙ্গলবার থেকে তার জেএসসি পরীক্ষা শুরু হলেও পারিপার্শিকতার কারনে সে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারছে না বলে জানান প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.