সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জনপ্রতিনিধিদের জমিদারসুলভ আচরণ চলবে না। জমিদারসুলভ আচরণ করা হলে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। জনপ্রতিনিধিদের জনগণের ভালোবাসার মানুষ হতে হবে।’ আজ শুক্রবার বিকেলে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস মাঠে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিলের স্মরণে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। স্মরণসভায় উপস্থিত নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগে এখন নেতার অভাব নেই, অভাব কর্মীর। মনে হয়, আওয়ামী লীগ এখন নেতা তৈরির কারখানা। সবাইকে নেতা হলে চলবে না। আওয়ামী লীগকে কর্মী উৎপাদনের কারখানায় পরিণত করতে হবে। অনেকেই আছে মৌসুমি নেতা। ক্ষমতায় গেলেই শুধু খাই খাই ভাব। এসব মৌসুমি নেতাদের জনগণ গ্রহণ করবে না। মানুষের জন্য কাজ করলে আওয়ামী লীগের নেতা হওয়া যায়। মাহবুবুল হক শাকিলের স্মৃতিচারণা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শাকিলের মৃত্যুতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শাকিলের মৃত্যুতে তাঁর মা-বাবা যতটুকু কষ্ট পেয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীও তার চেয়ে কম কষ্ট পাননি। শাকিলের কর্মজীবনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘চাইলে তিনি বিপুল সম্পদের মালিক হতে পারতেন। কিন্তু মানুষের ভালোবাসা পেতেন না। শাকিল সম্পদ অর্জন না করলেও মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছেন। স্মরণসভায় বিপুলসংখ্যক মানুষই বলে দিচ্ছে শাকিল কতটুকু জনপ্রিয় ছিলেন।’ ওবায়দুল কাদের ময়মনসিংহের জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার নেতাদের উদ্দেশে আরও বলেন, ‘নেতা নেতা ভাব দেখালেই নেতা হওয়া যায় না। দলের কোন্দল আমি মেনে নেব না।’ ময়মনসিংহ মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম। আরও বক্তব্য দেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন, মেজবাহ উদ্দিন সিরাজ, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন আসনের সাংসদেরা। গত ৬ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মাহবুবুল হক শাকিল।