তাসকিন আহমেদের মনে একটা বিশ্বাস ভালোভাবেই জন্মেছে। একদিন সাত-আটটি উইকেট একসঙ্গে পেয়ে যাবেন। সেই দিনটা এসে যাবে যেকোনো দিন। যেকোনো ম্যাচে।
কথা হচ্ছিল তাসকিনের বলে ক্যাচ পড়া নিয়ে। স্লিপে নিউজিল্যান্ডের ওপেনার জিৎ রাভালের ক্যাচ ছেড়েছেন সাব্বির রহমান। সাব্বির দলের সেরা ফিল্ডার। কঠিন কঠিন ক্যাচও তাঁর হাতে জাদুর মতো আটকে যায়। কিন্তু তাসকিনের বলে ক্যাচ উঠলেই কে যেন সাব্বিরের হাতে সাবান মেখে দেয়। সেই পিচ্ছিল হাত থেকে ওয়েলিংটন টেস্টেও তাসকিনের বলে ক্যাচ পড়েছে, পড়ল কালও।
তাসকিনেরই দুর্ভাগ্য হয়তো। নইলে বারবার তাঁর উইকেটগুলোই কেন ফিল্ডারদের হাত গলে বেরিয়ে যায়! নিজেই হিসাব করে বের করেছেন, নিউজিল্যান্ড সফরে তাঁর বলে অন্তত পাঁচটি ক্যাচ পড়েছে। অন্য সিরিজেও এটা নিয়মিত ব্যাপার। ফিল্ডারদের ভুলে প্রায় সব ম্যাচেই একটা না একটা উইকেট হাতছাড়া হবে। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে তো কাল আম্পায়ার নাইজেল লংও কেড়ে নিলেন একটি উইকেট!
তাসকিনের বল হেনরি নিকোলসের ব্যাটের কানায় লেগে জমা পড়ে উইকেটকিপার নুরুল হাসানের গ্লাভসে। কিন্তু ক্যাচের আপিলে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ শেষ হয়ে গিয়েছিল বলে ডিআরএস আর চাওয়া যায়নি, কাল তাই মাত্র এক উইকেট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাসকিনকে।
আক্ষরিক অর্থেই তিনি সন্তুষ্ট। ফিল্ডিংয়ে যে অহরহ ক্যাচ পড়ছে, সেটা নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই পেসার তাসকিনের, ‘এটা ঠিক, আমার বলে অনেক সুযোগ এসেছিল। এটা ক্রিকেটেরই অংশ। আমি এ নিয়ে তেমন একটা ভাবছি না। আজকেও (কাল) ক্যাচ হাতছাড়া হয়েছে। দু-একটা ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপ-গালির মাঝখান দিয়ে গেছে। একটা উইকেট পেয়েছি। তবে যেদিন আমার দিন থাকবে, দেখা যাবে ৬-৭-৮ উইকেট পেয়ে গেছি।’
তাসকিনের উইকেট হাতছাড়া হওয়া বাদ দিলে অবশ্য কাল সারা দিনে বাংলাদেশের বোলিং হয়েছে মনে রাখার মতো। নিজের হতাশা ছাপিয়ে তাসকিনের কথায় সেই তৃপ্তি, ‘বোলাররা সবাই ভালো বোলিং করেছি। একেকজন একেকভাবে ভালো বোলিং করেছে। কেউ হয়তো সুন্দর স্পেল করেছে, কেউ উইকেট নিয়েছে, কেউ রান বেঁধে রেখেছে। মূল ব্যাপার হলো ভালো জায়গায় বল করা, ভালো বল করা। আমরা সেই চেষ্টাই করেছি।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.