আশির দশকে জনপ্রিয় টিভি সিরিয়ালের নাম ছিল ‘সিক্স মিলিয়ন ডলারম্যান’। এবার আসছে এইট মিলিয়ন ডলারের শিক্ষা পুরস্কার।
শিক্ষার্থীদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি খাতে চীনের এক ধনকুবের সবচেয়ে দামী শিক্ষা পুরস্কারের প্রবর্তন করছেন।
ইডান প্রাইজ নামে এই পুরস্কারের অর্থমূল্য হবে আট মিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশী মুদ্রামানে ৬৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। প্রতিবছর দুটি গবেষণা প্রকল্প পাবে ইডান প্রাইজ। শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের আশা, পুরস্কারটি বিশ্বের শিক্ষাব্যবস্থািই পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
পুরস্কারটির উদ্যোক্তা চীনের ইন্টারনেট কোম্পানি টানসেন্টের সহপ্রতিষ্ঠাতা চার্লস চেন ইডান নতুন নতুন ভাবনার শিক্ষা গবেষণা প্রকল্পকে সহায়তা করতে এবং সেগুলোকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতেই ইডান প্রাইজের উদ্যোগ নিয়েছেন।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, সরকার এবং বুদ্ধিজীবীরা পুরস্কারের বিষয়টিকে খুব ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। এরইমধ্যে হার্ভার্ড এবং এমআইটির মতো মার্কিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মনোনয়নও পাঠিয়েছে।
তবে পুরস্কারপ্রাপ্ত যে শুধুই শিক্ষা সংক্রান্ত হতে হবে ব্যাপারটা মোটেও সেরকম নয়। স্থানীয় একটি প্রকল্পও পুরস্কারটি জিততে পারে, যদি সেটা তার কার্যকারিতা প্রমাণ করতে পরে।
৪৫ বছর বয়সী ইডান চীনের সবচয়ে ধনী ব্যক্তিদের একজন। ২০১৩ সাল থেকে শিক্ষা কার্যক্রমে উৎসাহ দিতে আগ্রহী হয়ে উঠেন তিনি।
আর তার বোধটা তৈরি হয়েছে পরিবার থেকে। সেখান থেকেই শিক্ষায় আগ্রহ পেয়েছেন ইডান। তার দাদী খুব বেশি শিক্ষিত না হলেও সন্তান মানে ইডানের বাবার পড়াশোনায় কোন কমতি রাখেননি। এ ঘটনাই পড়াশোনা নিয়ে ভাবতে আগ্রহী করেছে ইডানকে। তারই ফল ইডান প্রাইজ।
ইডান বলেন, উন্নত দেশের হোক বা উন্নয়নশীল দেশ থেকে হোক, পূর্ব থেকে আসুক বা পশ্চিম থেকে, আমরা সবাইকেই সমান গুরুত্ব দেবো।
ইডান চান পুরস্কারটি ভবিষ্যতে সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে ভাবতে সাহায্য করবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.