যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়ে জ্বালাময়ী বক্তব্য রেখেছেন ম্যাটেরিয়া গার্ল খ্যাত অভিনেত্রী, সংগীতশিল্পী ম্যাডোনা। তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা তদন্ত করবে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে গোয়েন্দারা সচেতন। তবে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হবে কিনা বা তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি অফিস। উল্লেখ্য, ২০শে জানুয়ারি ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পরদিন ২১শে জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যের বড় বড় শহর সহ বিশ্বের অনেক দেশে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়। ওয়াশিংটন ডিসিতে এমনই এক বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন ম্যাডোনা। সেখানে তিনি বলেন, আমি ক্ষুব্ধ। হ্যাঁ আমি বিক্ষুব্ধ। হ্যাঁ, হোয়াইট হাউসটিকে উড়িয়ে দেয়ার কথা ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু আমি জানি, তাতে কোনো পরিবর্তন আসবে না। আমরা বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারি না। কবি ডব্লিউ এইট অডেন একবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যেমনটা লিখেছিলেন ‘আমাদেরকে অবশ্যই একজন অন্যজনকে ভালোবাসতে হবে আর না হয় মরে যেতে হবে’। আমি ভালোবাসাকে বেছে নিয়েছি। আপনারা কি আমার সঙ্গে আছেন? এই বক্তব্যে হোয়াইট হাউসকে উড়িয়ে দেয়ার যে অংশটি তিনি বলেছেন তাতে তার বিরুদ্ধে গোয়েন্দারা তদন্ত করতে পারে। এমন খবর চাউর হওয়ার পর ম্যাডোনা তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ইনস্টাগ্রামে বক্তব্যের স্বপক্ষে তিনি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে তিনি তার ওই বক্তব্যকে বলেন রূপক অর্থের। আক্ষরিক অর্থে এর যে মানে দাঁড়ায় তিনি আসলে তা বোঝাতে চান নি। তিনি লিখেছেন, আমি গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে পরিষ্কার করতে চাই। আমি নিজে কোনো সহিংস মানুষ নই। আমি সহিংসতাকে সমর্থন করি না। এটা গুরুত্বপূর্ণ যে মানুষ আমার কথা শুনেছে এবং বুঝেছে। তারা কেউ এর একটি অংশকেও অন্য উদ্দেশে নেয় নি। আমার বক্তব্য শুরু করেছিলাম এই বলে যে, আমি ভালোবাসার একটি বিপ্লব শুরু করতে চাই। তারপর আমি নারী ও প্রান্তিক মানুষগুলোকে উৎসাহিত করার সুযোগ নিয়েছি। তারা যাতে বেপরোয়া না হয়ে ঐক্যবদ্ধ হন এবং বিশ্বে ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করেন সেই আহ্বান জানানো হয়েছে। আমি রূপক অর্থে কথা বলেছি। আমি দুটি বিষয় সেখানে ফুটিয়ে তুলেছি। এক. আশাবাদী হওয়া। দুই, ক্ষুব্ধ অনুভব করা। আমি নিজে এমন ক্ষোভ বোধ করেছিলাম। তারপরও আমি মানি ক্ষোভ কোনো সমস্যার সমাধান দিতে পারে না। পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন হলো ভালোবাসা। ওমেন্স মার্চ অন ওয়াশিংটনে শনিবার বিকালে দেয়া তার এ বক্তব্যের কারণে গোয়েন্দারা তদন্ত করবে বলে মিডিয়ায় খবর বেরিয়েছে। তার বক্তব্য যেসব টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করেছিল তারা এরই মধ্যে ক্ষমা চেয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার মুখপাত্র গেটওয়ে পণ্ডিত বলেছেন, ম্যাডোনার মন্তব্য সম্পর্কে তারা সচেতন। তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হবে। তবে সরাসরি গোয়েন্দা সংস্থার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায় নি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.