ব্রেক্সিট প্রক্রিয়াকে আইনি চ্যালেঞ্জ জানানো ব্যবসায়ী নারী গিনা মিলার ভয়াবহ হুমকির শিকার। তার আইনি চ্যালেঞ্জে বৃটিশ সরকার মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টেও হেরে গেছে। এখন ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু করতে হলে অবশ্যই লিসবন চুক্তির ৫০ অনুচ্ছেদ পার্লামেন্টে ভোটে দিতে হবে। পার্লামেন্ট যদি এ প্রক্রিয়ার পক্ষে অনুমোদন দেয় তাহলেই ব্রেক্সিট নিয়ে অগ্রসর হতে পারবেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। এর আগে বলা হয়েছিল, পার্লামেন্টের অনুমোদন ছাড়াই নির্বাহী ক্ষমতাবলে তেরেসা মে এ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন। সঙ্গে সঙ্গে এর বিরুদ্ধে আদালতের আশ্রয় নেন গিনা মিলার ও অন্য কয়েকজন। সেই আইনি চ্যালেঞ্জে বৃটিশ হাইকোর্টে হেরে যায় সরকার। রায় যায় গিনা মিলারের পক্ষে। এবার এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে সরকার। সেই আপিলের রায় হয় মঙ্গলবার। তাতেও হেরে যায় সরকার। কিন্তু ওদিকে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানানোর পর থেকেই নানা রকম হুমকি, হয়রানির শিকার হচ্ছেন গিনা মিলার। তিনি এসব বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন এলবিসি রেডিওতে। গিনা মিলার বলেছেন, আমাকে বলা হয়েছে, যেহেতু আমি শ্বেতাঙ্গী নই তাই আমি একজন মানুষও নই। আমাকে শিম্পাঞ্জি, বানরের সঙ্গে তুলনা করা হয়। বলা হয় আমাকে শিকার করা উচিত। আমার মাথা কামিয়ে দেয়া উচিত। যৌন নির্যাতনের মতো কথাবার্তাও বলা হয় সামাজিক মিডিয়ায়। কেউ কেউ তাকে হত্যার হুমকিও দেয়। বলে তাকে পুড়িয়ে মারা উচিত। অনেকে বলেছে, তাকে জো কক্সের মতো মারা উচিত। উল্লেখ্য, বৃটিশ এমপি জো কক্সকে তার নিজের নির্বাচনী আসন ব্যাটলি অ্যান্ড স্পেন-এ নাৎসীবাদী থমাস মায়ার কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। জো কক্স দু’সন্তানের মা। তাকে হত্যার অভিযোগে বেকার মালি থমাস মায়ারকে নভেম্বরে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বৃটিশ সুপ্রিম কোর্ট ব্রেক্সিট নিয়ে রায় দেয়ার পর গিনা মিলার মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, এখন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র সামনে একটিই পথ খোলা আছে। তা হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে বৃটেনকে বের করে আনতে হলে অবশ্যই তাকে পার্লামেন্টের অনুমোদন নিতে হবে। গিনা মিলার বলেন, তাকে শুধু সামাজিক মিডিয়ায়ই যে হুমকি দেয়া হয়েছে তা-ই নয়। তার ডাকবাক্সে চিঠি ফেলে যাওয়া হয়েছে। তাতে রয়েছে হুমকি। তিনি বলেন, এসবই হয়েছে পরিকল্পিতভাবে। এর আগে নভেম্বরে বৃটিশ হাইকোর্ট ব্রেক্সিট নিয়ে রায় দেয়। তারপর তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল। এর ফলে পুলিশ তাকে জনসমক্ষে প্রকাশ্যে চলাফেরা না করতে পরামর্শ দেয়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.