বাংলাদেশ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও সেবা রফতানিতে নগদ আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি রফতানির সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর শীতাংশু কুমার সুর চৌধুরী, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হারুন অর রশীদ, বিসিসি নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার সরকারসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রতিনিধি হিসেবে বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার এবং বেসিসের সাবেক সভাপতি শামীম আহসান বক্তব্য রাখেন। জুনাইদ আহমদ পলক তথ্যপ্রযুক্তি খাতের রফতানি বৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরে এই খাতে নগদ প্রণোদনা প্রদান, প্রণোদনার অর্থকে শুল্কমুক্ত করা, রফতানি আয় বিষয়ক ব্যাংকের জটিলতা দূরীকরণ, রফতানি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণ জটিলতার বিষয়গুলো উত্থাপন করেন। মোস্তাফা জব্বার তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর সুপারিশের বিষয়টির প্রয়োজনীয়তা, গুরুত্ব এবং সুফল উপস্থাপন করে নগদ প্রণোদনার দাবির পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ, তথ্যপ্রযুক্তি পরামর্শ ও ডিজিটাল কমার্সকে শুল্কমুক্ত করার দাবি জানান। তিনি ইইএফ ফান্ড চালু করার দাবিও পেশ করেন। তথ্যপ্রযুক্তি রফতানি হিসেবে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও সেবাকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানোর পাশাপাশি সি ফরমে হার্ডওয়্যার ও সেবা খাত অন্তর্ভুক্ত করা এবং জটিলতা কমিয়ে সি ফরমে পরিবর্তন করারও দাবি জানান। মোস্তাফা জব্বার বলেন, নগদ প্রণোদনা দেওয়া হলে একদিকে যেমন রফতানি বাড়বে, তেমনিভাবে ৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রাও নিশ্চিত হবে। একইসঙ্গে বিদেশ থেকে অর্জিত মুদ্রা বৈধভাবে দেশে আসার পরিমাণও বাড়বে।
মোস্তাফা জব্বার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমদানি রফতানির ক্ষেত্রে এতোদিন শুধু কম্পিউটার উল্লেখ ছিল। আমরা বলেছে, এটাকে আইসিটি উল্লেখ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, একটা ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। এতোদিন এটা ছিল আমাদের দাবি। আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি যথাযথ ফোরামে উপস্থাপন করতে পেরেছি। সঙ্গে সঙ্গে ফলও পেয়েছি। শামীম আহসান ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ডের শুল্ক জটিলতা দূর করার আহ্বান জানান। সভায় বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে জটিলতা, রফতানি আয় দেশে আনার জটিলতা, শুল্ক জটিলতা ইত্যাদি দূর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শিগগিরই ইইএফ ফান্ড চালু করার জন্য অর্থমন্ত্রী নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে তিনি সি ফরমে পরিবর্তন আনারও নীতিগত সিদ্ধান্ত দেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.