গবাদিপশুর জন্য পরিচিত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে কয়েক দিন ধরেই পশুচিকিৎসক নেই। বন্যার এই সময়ে পশুচিকিৎসক না থাকায় খামারিরা গবাদিপশুর সেবা ও পরামর্শের অভাবে বিপাকে পড়েছেন।
শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও খামারিদের সূত্রে জানা গেছে, একমাত্র ভেটেরিনারি সার্জন শহিদুল ইসলাম এক মাস আগে ছয় মাসের এক ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণে গেছেন। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা থাকলেও তিনিও গত মঙ্গলবার থেকে ঢাকায়। এ অবস্থায় চিকিৎসকশূন্য থাকায় সেবা না পেয়ে শত শত খামারি ফেরত যাচ্ছেন।
চিকিৎসা পরামর্শ নিতে আসা খামার মালিক চরবেলতৈল এলাকার আবদুর রহমান, খুকনি গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও ব্রজবালা গ্রামের ফরিদ হোসেন জানান, বন্যার কারণে গরু-বাছুর নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। রোগাক্রান্ত পশুগুলো এলাকার গ্রাম্য চিকিৎসক দেখিয়েছেন। কিন্তু ভালো হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে বড় ডাক্তারের কাছে এসেছেন। কিন্তু কেউ না থাকায় তাঁরা পড়েছেন বিপাকে।
খামারিরা আরো জানান, উপজেলার অর্ধশতাধিক গরুর বাথান ও পাঁচ হাজার একর গো-চারণভূমি বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। কাঁচা ঘাসের অভাবে উপজেলার প্রায় চার লাখ গবাদিপশুর খাদ্যের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। ঠাসাঠাসি করে গবাদিপশুদের বাড়িতে রাখা হয়েছে, যে কারণে প্রতিদিনই শত শত গবাদিপশু বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এ সময় চিকিৎসক না পাওয়াটা মেনে নেওয়া যায় না।
শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবদুস ছামাদ জানান, দুজন চিকিৎসকের মধ্যে একজন ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণে গেছেন। তিনি ঢাকায় মন্ত্রীর জরুরি বৈঠকে এসেছেন। যে কারণে দুদিন ধরে চিকিৎসক নেই। তবে স্থানীয়ভাবে মাঠকর্মী ও কম্পাউন্ডারদের রাখা হয়েছে, যাঁরা চিকিৎসা দিতে পারবেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আহমেদ বলেন, বন্যার সময় জরুরি অবস্থা চলছে। এ সময় চিকিৎসকদের উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক। কোথাও গেলে তাঁকে বলার কথা। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.