রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পকে ঠেকাতে এবার লন্ডনের রাস্তায় নেমেছেন মার্কিন রাজনৈতিক কর্মীরা। ‘স্টপ ট্রাম্প’ বা ‘ট্রাম্প ঠেকাও’ লেখা খোলা ছাদের বাসে চড়ে তারা ঘুরছেন লন্ডনের রাস্তায়। তাদের গায়ে রয়েছে ‘স্টপ ট্রাম্প’ লেখা টি-শার্ট, হাতে ট্রাম্পবিরোধী প্ল্যাকার্ড। বৃটেনে অভিবাসী মার্কিনিদের প্রতি তারা আহ্বান জানাচ্ছেন চূড়ান্ত নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য নিবন্ধন করার এবং ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার। এ খবর দিয়েছে সিএনএন। খবরে বলা হয়, বৃটেনে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ। তাদের প্রতিই ট্রাম্পকে ঠেকানোর জন্য লন্ডনের রাস্তায় রাস্তায় ‘স্টপ ট্রাম্প’ বাস নিয়ে ঘুরছেন মার্কিন রাজনৈতিক কর্মীরা। জনগণের ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করা বৈশ্বিক রাজনৈতিক গ্রুপ আভাজ আয়োজন করেছে ট্রাম্প ঠেকানোর এই কর্মসূচি। লন্ডনে মার্কিন নাগরিকদের আনাগোনা যেসব স্থানে বেশি সেসব স্থানে তারা থামছেন, মার্কিনিদের উৎসাহিত করছেন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার। বিভিন্ন স্থানে থেমে তারা মার্কিন নাগরিকদের আইপ্যাড দিয়ে ভোট দেয়ার জন্য নিবন্ধন করিয়ে নিচ্ছেন। এর জন্য মার্কিনিদের আকৃষ্ট করতে তারা বিতরণ করছেন বিস্কুট, শোনাচ্ছেন জনি ক্যাশ ও অন্যান্য মার্কিন শিল্পীদের গান। আভাজ গ্রুপের ফেসবুকে এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘লাখ লাখ আমেরিকান দেশের বাইরে বসবাস করছেন। তারা ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করা থেকে ঠেকাতে পারেন। কিন্তু তাদের মাত্র ১২ শতাংশ নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকেন। এ কারণেই আমরা এগিয়ে এসেছি।’ আভাজের ২০ জন কর্মী অংশ নিয়েছেন লন্ডনে ট্রাম্পবিরোধী এই প্রচারণায়। তাদের একজন ৫৫ বছর বয়সী ডানা ল্যাজারাস। ব্রুকলিনের অধিবাসী ডানা ৩০ বছর ধরে বাস করছেন লন্ডনে। তিনি বলেন, ট্রাম্পের বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রচারণার বিপরীতে তিনি ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে ভোট দিবেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমেরিকানদের যারা দেশের বাইরে বসবাস করছেন তাদের অবস্থান ভিন্ন। আমাদের বিশ্ব এবং এতে আমেরিকার অবস্থান নিয়ে একটি বিস্তৃত ধারণা রয়েছে।’ কলোরাডোর ২৭ বছর বয়সী আমান্ডা জোনসও হিলারিকে ভোট দিবেন বলে জানিয়েছেন। তার এমন সিদ্ধান্তের পিছনেও কাজ করছেন ট্রাম্পকে ঠেকানোর প্রবণতা। নিউ ইয়র্কের ২৭ বছর বয়সী জেমন টোলস এখন ইউরোপ সফরে রয়েছে। তিনি এরই মধ্যে নিবন্ধন করেছেন ভোট দেয়ার জন্য। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্পকে যারা অনুসরণ করছেন, আমার মনে হয় না তারা আদৌ (মেক্সিকো) সীমান্তের বাইরে ট্রাম্পের রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে জানেন। এটা নিঃসন্দেহে হাস্যকর।’ এখন পর্যন্ত এমন প্রচারণায় যে ধরনের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে তাতে সন্তুষ্ট আভাজ। সংগঠনটির প্রচারণা পরিচালক মেরেডিথ আলেক্সান্ডার বলেন, ‘আমরা আজ খুবই ভালো করেছি। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আমরা অসাধারণ সাড়া পাচ্ছি। ট্রাম্প আমাদের যেমন ঝুঁকির মুখে ফেলছেন বলে আমরা মনে করছি, তারাও ঠিক সেভাবেই চিন্তা করছেন।’ ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা দলের পক্ষ থেকে অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত এই প্রচারণা নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.