যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে দুজন মুসলিম নারী ধর্মীয় বিদ্বেষের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে পুলিশের একজন সদস্য ও অন্যজন পরিবহনকর্মী। এ অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ও নগরের মেয়র উভয়েই এর নিন্দা করে বলেছেন, যেকোনো ধরনের বিদ্বেষ ছড়ানোর প্রয়াস শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে। এক দশকের বেশি সময় ধরে নিউইয়র্ক পুলিশে (এনওয়াইপিডি) কর্মরত আমল এলসোকারি গত শনিবার ব্রুকলিনে ধর্মীয় বিদ্বেষের মুখে পড়েন। ঘটনার সময় তিনি কর্তব্যরত ছিলেন না। একজন শ্বেতাঙ্গ তাঁর হিজাব পরা নিয়ে বিদ্রূপ করে এবং জঙ্গি সংগঠন আইএসের সঙ্গে তুলনা করে। লোকটি এলসোকারির সঙ্গে থাকা ১৬ বছর বয়সী ছেলেকে ধাক্কা দিয়ে বলতে থাকে, ‘দেশে ফিরে যাও।’ বিদ্বেষের এ অভিযোগে ক্রিস্টোফার নেলসন (৩৬) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সোমবার নিউইয়র্ক নগরের মেয়র ও পুলিশপ্রধানের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে আমল এলসোকারি বলেন, ‘নিউইয়র্কের ইতিবাচক দিকটি তুলে ধরতেই আমি পুলিশ বিভাগে যোগ দিয়েছিলাম। আমি সব সময় দেখাতে চেয়েছি একজন মুসলিম নারী হয়েও এ কাজ করা সম্ভব।’ আবেগের সঙ্গে এলসোকারি আরও বলেন, ‘আমি সব সময় সবাইকে সাহায্য করি।’ গত ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে অভিবাসনবিরোধী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধের ঘটনা বেড়ে গেছে। এনওআইপিডির নারী পুলিশ সদস্যের ওই ঘটনার পর সোমবার আরও একটি ঘটনা ঘটেছে। ম্যানহাটনের গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল স্টেশনে নিউইয়র্ক ট্রানজিটের একজন নারী কর্মচারীকে ধাক্কা দিয়ে সিঁড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। হিজাব পরা নারী কর্মচারীটি তাঁর কাজের জায়গায় যাচ্ছিলেন। পড়ে গিয়ে তিনি হাঁটু ও কোমরে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কোমো এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, নগরের একটি ট্রেনে শ্বেতাঙ্গ বর্ণবিদ্বেষী সংগঠনের প্রচারপত্র পাওয়া গেছে।