ভারতীয় রিয়েলিটি শোগুলোর মধ্যে ‘বিগ বস’ ব্যাপক জনপ্রিয়। এরই মধ্যে ১০টি সিজন হয়ে গেছে শোটির। শুরুর দিকে আরশাদ ওয়ার্সি, শিল্পা শেঠি, অমিতাভ বচ্চনের পরে, চতুর্থ এপিসোডে শো-র হোস্ট হন সালমান খান। পঞ্চম সিজনে সঞ্জয় দত্ত এলেও, সালমানের জনপ্রিয়তার কারণে তাকে ফিরিয়ে আনা হয় পরবর্তী সিজনগুলোয়। এবং জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে যায় এই রিয়েলিটি শো। কিন্তু এই সাফল্যের পেছনে যে মানুষটি রয়েছেন, তিনিই যদি বিগ বস ছেড়ে দেন তবে শো-র কী হবে! সম্প্রতি নিজের মুখে এ কথা বলেছেন সালমান। আর তাতেই শুরু হয়েছে জল্পনা। প্রায় ১০টা বছর অতিক্রম করেও বিতর্ক যেন পিছু ছাড়েনি ‘বিগ বস’-এর। অশ্লীল ভাষা ব্যবহার এবং অসভ্য আচরণের জন্য কিছুদিন আগেই নমিনেশন ছাড়াই ‘বিগ বস’-এর ঘর থেকে বের করে দেয়া হয় প্রিয়াংকা জগ্গাকে। তার উপর ক্ষুব্ধ হয়েই সালমান খান নিজের মুখে কালারসের সঙ্গে সব চুক্তিভঙ্গের কথা জানান। আসলে কী হয়েছিল সে ঘটনায় আসা যাক । ‘বিগ বস’-এর ঘর মানেই ঠা-া যুদ্ধ। কখনো কখনো সেই যুদ্ধই চরমে পৌঁছায়। বিগ বস হাউজের অন্দরমহলে সেলিব্রিটিদের মধ্যে কথাকাটাকাটি থেকে হাতাহাতি সবকিছুই দেখে নিয়েছে আমজনতা। কিন্তু ‘দশম সিজন’-এ কিছু প্রতিযোগী সেই সীমা যেন ছাড়িয়ে গিয়েছেন। দশম সিজনের প্রথম সপ্তাহ থেকেই নানারকম উত্তেজনামূলক কথা বলে ‘বিগ বস’-এর অন্দরমহলে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন প্রিয়াংকা জগ্গা। একাধিকবার সাবধান করার পরেও কোনোরকম গুরুত্ব দেননি তিনি। কয়েক সপ্তাহ এমনটা চলার পর শো-এর হোস্ট সালমান তার কাছে গোটা ঘটনাগুলোর ব্যাখ্যা চান। সালমান জানান, অন্য প্রতিযোগীদের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা থেকে শুরু করে প্রিয়াংকার অসভ্য ব্যবহার কখনোই কাম্য নয়। ৫১ বছর বয়সী এ অভিনেতার প্রশ্নের কোনরকম সদুত্তর না দিয়ে বরং দুর্ব্যবহার করেন প্রিয়াংকা। এরপরেই কোনো ধরনের নমিনেশন ছাড়াই প্রিয়াংকা জগ্গাকে ‘বিগ বস’-এর ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন সালমান। এখানেই শেষ নয়। তিনি আরো জানান, শুধুমাত্র বিগ বস কেন, ভবিষ্যতে কালারসের কোনো শো-তে যদি প্রিয়াংকা আসেন, তবে তিনি কালারসের সঙ্গে আর কাজ করবেন না।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.