রামও নেই! নেই তাঁর সেই রাজত্বও। ২০১৪ সালের পর থেকেই নিজের ছায়া হয়ে আছেন রজার ফেদেরার। ২০১৩ সালে হাঁটুতে ইনজুরির পর আর কোনো গ্রান্ডস্লাম জিততে পারেননি ফেদেরার। মাঝখানে উইম্বলডনে দুবার আর ইউএস ওপেনে একবার রানার্স আপ হন। ২০১৪ সালের পর ইনজুরির কারণে নাদালও আহামরি কিছু করতে পারেননি। উইম্বলডন, ইউএস ওপেনের মতো আসরগুলোতে ছিলেন সুপার ফ্লপ। এর পর থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল জোকোভিচ, অ্যান্ডি মারেদের রাজত্বে আর ফেরা হবে না এই দুই মহারথীর। ফেদেরার ১৭ ও নাদালকে ১৪টি গ্রান্ড স্লাম নিয়েই খুশি থাকতে হবে! তবে ইনজুরি থেকে ফিরেই আবার স্বরূপে এই দুই তারকা।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে বুলগেরিয়ান তারকা গ্রিগর দিমিত্রভকে ৬-৩, ৫-৭, ৭-৬(৫) ৬-৭(৪), ৬-৪ সেটে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে জায়গা করে নেন স্প্যানিয়ার্ড নাদাল। ফলাফলই বলে দিচ্ছে, ম্যাচটা জিততে কতটা কষ্ট করতে হয়েছে নাদালকে। চার ঘণ্টা ৫৬ মিনিটের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছেন ১৪টি গ্র্যান্ড স্লামের মালিক নাদাল। ২০১৪ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনের পর আবার কোনো গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে উঠলেন নাদাল। কোয়ার্টার ফাইনালে কানাডার মিলোস রাওনিককে ৬-৪, ৭-৬ (৯-৭) এবং ৬-৪ সেটে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেন তিনি।
এর আগে প্রথম সেমিফাইনালে স্তানিস্লাস ভাভারিঙ্কার বিপক্ষে ৭-৫, ৬-৩, ১-৬, ৪-৬, ৬-৩ সেটে জিতে ফাইনালে ওঠেন রজার ফেদেরার। ২০১১ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনের পর আরেকবার শিরোপার লড়াইয়ে নামবেন এই দুই কিংবদন্তি। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত বছরের প্রথম শিরোপা কার হাতে ওঠে! ছয় বছর পর আবার নাদাল-ফেদেরারের লড়াই দেখতে টেনিস প্রেমীদের চোখ কিন্তু এখন থেকেই চকচক করছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.