পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন রাখাইন কমিশনের প্রতিনিধিরা।
এসব আলোচনায় সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্বের ইস্যু অধিক গুরুত্ব পাবে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর নোবেল বিজয়ী অং সান সুচি রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যের সমস্যা সম্পর্কে জানা এবং সমাধানের সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে রাখাইন অ্যাডভাইজরি কমিশন গঠন করেন।
যৌথভাবে এই কমিশন গঠনে যুক্ত হয়েছে কফি আনান ফাউন্ডেশন। নয় সদস্য বিশিষ্ট এই কমিশনের প্রধান জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান। তবে কফি আনান এই সফরে ঢাকায় আসেননি।
চলতি বছরের শেষ নাগাদ রাখাইন কমিশন তাদের রিপোর্ট মিয়ানমারের সরকারের কাছে পেশ করবে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা করে রাখাইন কমিশন স্বাধীনভাবে রিপোর্ট দেবে বলে বলা হয়েছে।
তবে নয় সদস্য বিশিষ্ট এই কমিশনে তিনজন বিদেশী এবং ছয়জন মিয়ানমারের নাগরিক অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। এই কমিশনের ব্যয় বেশিরভাগই বহন করছে মিয়ানমার সরকার। কিছু ব্যয় আনান ফাউন্ডেশন বহন করবে।
বাংলাদেশ সফররত রাখাইন কমিশনের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে ঘাসান সালামি নামের একজন আন্তর্জাতিক সদস্য থাকলেও অপর দুজন মিয়ানমারের নাগরিক।
গত বছরের ৯ অক্টোবর সীমান্ত চৌকিতে সন্ত্রাসী হামলায় মিয়ানমারের নয়জন ‘বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)’ সদস্য নিহত হওয়ার জের ধরে দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে অভিযান শুরু করে।
এই অভিযানে নির্বিচারে রোহিঙ্গাদের হত্যা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ এবং রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬৬ হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
এছাড়াও, প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা এর আগে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে কক্সবাজার ও তার আশেপাশে খুপরি ঘর তুলে অবৈধভাবে বাস করছেন। আর ৩৩ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরে আছেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.