‘পদ্মাবতী’ ছবির শুটিংয়ে একদল মানুষের বিক্ষোভ, হেনস্তার ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালি। তিনি জানিয়েছেন, ইতিহাস ঘেঁটেই ‘পদ্মাবতী’ তৈরিতে হাত দিয়েছিলেন। ছবিতে মেবারের রাণী ও আলাউদ্দিন খিলজির মধ্যে কোনো ঘনিষ্ঠ দৃশ্য নেই। একটি বিবৃতি জারি করে সঞ্জয় জানিয়েছেন, জয়পুর আমার প্রিয় শহর। এর আগে দু’টি ছবির শুটিং করেছি সেখানে। তখন এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়নি। সেটে কাজ করতে আসা কর্মীদের হেনস্তা করা হয়েছে। চলেছে ভাঙচুর। এখনও ঘটনার রেশ কাটিয়ে উঠতে পারিনি। তাই ছবির কলাকুশলী এবং অন্য কর্মীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে শুটিং বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে সকলকে একটাই কথা বলব, ইতিহাস ঘেঁটেই ‘পদ্মাবতী’র কাহিনী সাজিয়েছিলাম। ছবিতে রাণী পদ্মাবতী এবং আলাউদ্দিন খিলজির মধ্যে কোনো ঘনিষ্ঠতা বা স্বপ্নের দৃশ্যও রাখা হয়নি। কিছু না জেনেশুনেই জয়পুরে শুটিংয়ের সময় হামলা করা ৎ হয়েছে। তার মতে, ছবিটি দেখার পর মেবারবাসী নিশ্চিতভাবেই গর্ব অনুভব করবেন। কাউকে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, রাণীর কাহিনী গোটা বিশ্বের মানুষের কাছে তুলে ধরাই লক্ষ্য। এতে সবার সহযোগিতা পেলে ভাল। মেবারের রাণী পদ্মিনীর কাহিনী অবলম্বনে এর আগে ‘পদ্মাবতী’ গীতিনাট্য পরিচালনা করেছিলেন বানসালি। সেটি প্যারিসে দেখানো হয়। সেখানকার দর্শকের প্রশংসা পাওয়ার পর ছবি তৈরির কথা মাথায় আসে তার। রণবীর সিং, শাহিদ কাপুর এবং দীপিকা পাড়ুকোনকে নিয়ে গত বছর শেষের দিকে শুটিং শুরু করেন। কিন্তু জয়পুরে শুটিং করতে গিয়েই বিপত্তি বাঁধে। ছবিতে রাণী পদ্মিনীর কাহিনী বিকৃত করে দেখানো হয়েছে বলে ছবির সেটে হাজির হয় রাজপুত করনি সেনার একদল সদস্য। বানসালি ও সেটের কর্মীদের মারধরের পর ভাঙচুর চালায় তারা। এই ঘটনায় বলিউডের পাশাপাশি নিন্দায় মুখর হয়েছে বিশিষ্ট মহল।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.