আশির দশকের চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা রোজিনা। কয়েক বছর ধরে লন্ডনেই তার স্থায়ীবাস। তবে মাঝে তিনি বেশকিছু দিনের সময় হাতে নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। কিছুদিন আগে তিনি তার নিজ গ্রাম গোয়ালন্দের কুমড়াকান্দিতে রাজাকার আলবদরদের দ্বারা ক্ষতবিক্ষত একটি পরিবারের কাহিনীকে ঘিরেই একটি ছবির গল্প লিখেছেন। ছবিটি সরকারি অনুদানের জন্য মন্ত্রণালয়ে জমাও দিয়েছেন। এরই মধ্যে প্রাথমিক বাছাই হয়েছে। সেখানে তার গল্প নির্বাচিত হয়েছে। এবার চূড়ান্ত ফলাফলের অপেক্ষায় তিনি। গতকাল প্রায় ছয় বছর পর নিজ গ্রাম গোয়ালন্দে ঘুরতে এবং এ ছবির জন্য লোকেশন দেখতে গিয়েছেন চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই মুখ। রোজিনা মানবজমিনকে বলেন, আমি যে ছবিটি অনুদানের জন্য জমা দিয়েছি এর নাম ‘বীরাঙ্গনা’। ছবিটির গল্প ও চিত্রনাট্যও আমার নিজের লেখা। চিত্রনাট্যটি এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গ্রামে নানির বাড়িতে ছিলাম আমি। সেই সময় কাছে থেকে দেখা অভিজ্ঞতা থেকেই ছবির কাহিনী লিখেছি। এবার এ ছবির শুটিংয়ের জন্য লোকেশনও দেখতে গ্রামে এসেছি। পাশাপাশি পারিবারিক একটা দাওয়াতও আছে এখানে। এ ছবিটি আমার স্বপ্ন। যদি অনুদান নাও পাই তার পরও আমি নিজের উদ্যোগে ছবিটি নির্মাণ করতে চাই। এ ছবিটি অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনাও করবেন চিত্রনায়িকা রোজিনা। সবশেষ ‘বিবিসাব’ নামে একটি নাটকে অভিনয় করেন তিনি। এ নাটকটির শুটিং এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। রোজিনা এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রায় পাঁচ বছর পর একটি টিভি নাটকে কাজ করেছি। নাট্যকার আবদুল্লাহ আল মামুনের লেখা মঞ্চনাটক ‘বিবিসাব’-এর অনুপ্রেরণায় এর চিত্রনাট্য করেছেন নির্মাতা তারিক মুহম্মদ হাসান। ক’দিন আগে ঢাকার একটি রিকশা গ্যারেজে নাটকটির শুটিং শেষ হয়েছে। এ নাটকে আমার বিপরীতে ইন্তেখার দিনার অভিনয় করেছেন। ফেব্রুয়ারিতে বাবুল ভাইয়ের পরিচালনায় আরেকটি নাটকে কাজ করবো। ভালো কিছু কাজের পরিকল্পনা রয়েছে আমার।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.