জীবনে সফল হতে চাইলে করা উচিত নয়- এমন কয়েকটি কাজের কথা জানিয়েছে লাইফস্টাইল ব্লগ লাইফ হ্যাক ডটঅর্গ৷ চলুন দেখে নেই সেগুলো…৷ ‘পারফেকশন’ আশা করা বন্ধ করুন আমরা প্রায়ই কোনো কিছু যেভাবে চাই, ঠিক সেভাবে করতে না পারলে অথবা যেভাবে চেয়েছিলাম, ঠিক সেভাবে না পেলে হতাশ হয়ে পড়ি৷ এটা ঠিক নয়৷ জীবনে সব কিছু একেবারে পারফেক্টভাবে করা বা পাওয়ার আশা এক ধরনের বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে৷ এই চাপ থেকে মুক্ত থেকে, কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য বরং শান্তভাবে এগিয়ে যাওয়াই মঙ্গল৷ জীবনে ভুল হতে পারে৷ আর সেটাই তো স্বাভাবিক, তাই না? না বলতে চাইলে কখনোই হ্যাঁ বলবেন না নিজের ‘লিমিট’ সম্পর্কে সচেতন থাকুন৷ না বলতে শিখুন৷ অনেকে চেষ্টা করবে আপনার ‘লিমিট’ নিয়ে খেলতে৷ কেউ হয়ত এমন সময় সহায়তা চাইবে, যখন আপনার তাকে সহায়তা দেয়ার সময় নেই৷ কিংবা কেউ হয়ত আপনার কাছে টাকা ধার চাইলো, যা দেয়া আপনার জন্য কঠিন৷ এ সবক্ষেত্রে নিজের অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নিন, প্রয়োজনে স্পষ্টভাবে ‘না’ বলুন৷ নিজের সঙ্গে নেতিবাচক আলাপ বন্ধ করুন অতীতে ঘটে যাওয়া কোনো নেতিবাচক ঘটনা, যা আপনাকে আঘাত দিয়েছে কিংবা আপনি কাউকে আঘাত দিয়েছেন, তা হয়ত আপনার মনের মধ্যে আজও জমে আছে৷ আর আপনি হয়ত এখনও নিজের অজান্তেই নিজের মনে কথা বলে চলেছেন, কী করলে সেই নেতিবাচক ঘটনাটি ঘটতো না৷ এই আলাপ বন্ধ করুন৷ বরং অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যান, আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ভালো দিকগুলি নিজের সামনে তুলে ধরুন, নিজেকে বলুন৷ শুধুমাত্র ‘আজকে’গুরুত্ব দেয়া বাদ দিন বুদ্ধিমান মানুষেরা যেমন তাদের বর্তমানটা উপভোগ করেন, তেমনই ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনাও করেন৷ তাই পরিকল্পনা অনুযায়ী আপনার পদক্ষেপ ঠিক করুন৷ এখন থেকে পাঁচ, দশ বা পনের বছর পর আপনি নিজেকে কোথায় দেখতে চান, সেটা ঠিক করে নিন৷ তারপর এগিয়ে যান৷ অর্থাৎ বর্তমানকে উপভোগের পাশাপাশি ভবিষ্যতে নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য যা দরকার, সেটাও করুন৷ নিজের লক্ষ্যকে অবহেলা করবেন না ভাববেন না, আপনি ভালো মানুষ বলে অনেককিছু এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে৷ ভালো কিছু তাদের ক্ষেত্রেই ঘটে, যারা তার জন্য চেষ্টা করে৷ তাই জীবনে স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে এগোনোই ভালো৷ এর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ‘টাইম ম্যানেজমেন্ট’৷ সময় নষ্ট না করে কবে, কখন, কী করবেন – সেটা আগে থেকেই পরিকল্পনা করুন৷ সময়ের থেকে দামি যে আর কিছুই হয় না! নিঃসঙ্গতা থেকে দূরে থাকুন সফল মানুষরা জানে কাজই সব নয়৷ বরং যারা সফল, তারা কাজের বাইরে পরিবার, শখ এবং বন্ধ-বান্ধবদের জন্যও সময় বের করে নেন৷ সমাজ থেকে দূরে, নিঃসঙ্গ থাকলে সেটা বরং ক্ষতিকরই৷ তাই যারা সফল হতে গিয়ে কাজের বাইরে অন্যদিকে মন দিচ্ছেন না, তারা অভ্যাসটা বদলান৷ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি নিজের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং ‘হবি’ বা শখের জন্যও সময় দিন৷ অন্যদের সঙ্গে নিজের তুলনা করা থেকে বিরত থাকুন সফল যিনি, একমাত্র তিনিই জানেন যে, আজ তিনি যাকে টপকে এসেছেন, কাল হয়ত তিনি বা অন্য কেউ তার জায়গায় আসবেন৷ সফলরা কখনোই অন্যদের সঙ্গে নিজের তুলনা করেন না৷ এতে যে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি৷ তবে এটা ঠিক যে, তারা নিজেদের দুর্বলতাগুলো পর্যালোচনা করেন এবং তারা যা জানেন না, তা যদি অন্য কোউ জানে, তাহলে তাদের প্রশংসা করতেও দ্বিধাবোধ করেন না৷ অতীতে বসবাস করা বাদ দিন সফল মানুষরা তাদের ভুল থেকে শিক্ষা নেন, কিন্তু অতীত নিয়ে পড়ে থাকেন না৷ বরং অতীত থেকে নেয়া শিক্ষা বর্তমান এবং ভবিষ্যতে ব্যবহার করেন তারা৷ আপনি কী ছিলেন – তা নিয়ে না ভেবে আপনি এখন কেমন আছেন এবং ভবিষ্যতে কেমন হতে চান, সে কথা নিয়ে ভাবুন৷ অতীতের ভুল যাতে আবারো না হয়ে যায়, সে দিকে লক্ষ্য রাখুন৷ অসৎ মানুষদের সহ্য করবেন না সফল মানুষরা অন্যের ভালো বৈশিষ্ট্য এবং উপহারের প্রশংসা করেন৷ তারা অন্যের সাফল্যের পথে বাধা হন না কিংবা অন্যের সাফল্যকে ছোট করে দেখেন না৷ তারা সম্পর্কের ব্যাপারের যেমন উদার, তেমনি কখন একটা সম্পর্ক ভেঙে দিতে হয়, সেটাও জানেন তারা৷ নেতিবাচক এবং অসৎ মানুষদের পরিহার করে সৎ এবং আন্তরিকদের গুরুত্ব দেন তারা, মনে করে লাইফস্টাইল ব্লগ লাইফহ্যাক ডটঅর্গ৷ ।ডচভেলে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.