ফিলিপাইনের আলোচিত ব্যবসায়ী ও ক্যাসিনো জাঙ্কেট কিম অং বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া অর্থের মধ্যে ৪৩ লাখ ডলার ফেরত দিয়েছেন। সোমবার দেশটির অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের (এএমএলসি) কাছে এ অর্থ ফেরত দেওয়া হয়। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরি ও তা পাচারের ঘটনার তদন্তে থাকা ফিলিপাইনের সিনেটের ব্লু রিবন কমিটির ষষ্ঠ শুনানিতে এএমএলসির নির্বাহী পরিচালক জুলিয়া বাকে আবাদ এ তথ্য জানিয়েছেন। আবাদ জানান, কিম অংয়ের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন হাওয়াই লেইজার কোম্পানি লিমিটেড তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে সোমবার ‘নিরাপদে রাখার জন্য’ এএমএলসির কাছে অর্থ জমা দিয়েছে।
শুনানিতে কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর তিওফিস্তো গুইংগোনা তৃতীয় বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি কিম অং গতকাল ২০ কোটি পেসো ( ৪৩ লাখ ৩৭ হাজার মার্কিন ডলার) ফেরত দিয়েছে। আমি কি সঠিক? জবাবে আবাদ বলেন, ‘ বাংলাদেশের জনগণের কাছে নিরাপদে ফিরিয়ে দিতে গতকাল ইস্টার্ন হাওয়াই লেইজার কোম্পানি তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে এএমএলসির কাছে ২০ কোটি পেসো জমা দিয়েছে। শুনানিতে উপস্থিত ব্যবসায়ী অংয়ের কাছে তখন সিনেটর গুইংগোনা জানতে চান, চুরি যাওয়া অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রমাণিত হলে এর আগে তিনি যে ৪৫ কোটি পেসো ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এই ২০ কোটি পেসো তার অংশ কি না।
জবাবে কিম অং বলেন, ‘হ্যা, কারণ আমি এক মাসের মধ্যে ৪৫ কোটি পেসো ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। প্রসঙ্গত, এর আগে সিনেট কমিটিকে কিম অং জানিয়েছিলেন, অর্থ চুরির সঙ্গে জড়িত চীনা ব্যবসায়ী শুহুয়া গাওকে তিনি ৪৫ কোটি পেসো ঋণ হিসেবে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরির পর গাও এই অর্থ তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.