বড়দিন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র এখন উৎসবের ছোঁয়া। নগরকেন্দ্র থেকে প্রত্যন্ত জনপদ আলোঝলমলে। পাশাপাশি উৎসব ঘিরে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ক্রিসমাস বা বড়দিন হলেও যুক্তরাষ্ট্রে উৎসবটি অনেকটাই সর্বজনীন। বড়দিন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ, ব্যবসা-বাণিজ্যের সেরা মৌসুম চলছে। শেষ মুহূর্তে এসে ক্রিসমাস ট্রি কেনার ধুম পড়েছে। লোকজন হামলে পড়েছে উপহার কেনার জন্য। শপিং মলে চলছে মূল্যছাড়ের ছড়াছড়ি। আমন্ত্রণ ও সাজসজ্জার পর্বও চলছে জোরেশোরে। নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, ওয়াশিংটন ডিসি, ভার্জিনিয়াসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বাড়িঘর, সড়কপথ ও আঙিনায় শোভা পাচ্ছে ক্রিসমাস ট্রি। সবুজ ক্রিসমাস ট্রিতে সন্ধ্যার পরই জ্বলে লাল-নীল জোনাকি বাতি। নিউইয়র্কের সবচেয়ে বড় ক্রিসমাস ট্রি লাগানো হয়েছে ম্যানহাটনের মিড টাউনের রকফেলার সেন্টারে। ট্রিটি গত ৩০ নভেম্বর রাতে লাগানো হয়। নানা রঙের বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে ট্রিটি। প্রতিদিন এই ক্রিসমাস ট্রি দেখতে অনেক মানুষ ভিড় করছেন। বড়দিন উপলক্ষে গির্জাগুলো সাজানো হচ্ছে অপরূপ সাজে। বাড়িঘরের ভেতর-বাহির সাজাতেও কোনো কার্পণ্যের লক্ষণ নেই। নিউইয়র্কের বাংলাদেশি-অধ্যুষিত জ্যামাইকার অ্যান্থনি গানজালভেজ প্রথম আলোকে বলেন, বড়দিন উপলক্ষে তাঁদের উৎসবের শেষ নেই। ১ ডিসেম্বর থেকেই উৎসব শুরু হয়ে যায়। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। বড়দিন উপলক্ষে হোয়াইট হাউসে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। নানা রঙের বাতি দিয়ে বড়দিনের বৃক্ষ সাজানো হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার এটাই হবে হোয়াইট হাউসে শেষ বড়দিন উদ্যাপন। বড়দিনের উৎসবে নিজেদের ভাসিয়ে দিতে প্রতিবছরের মতো এবারও ইউরোপ-এশিয়া থেকে প্রচুর পর্যটক যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ আকাশপথেও যাতায়াত বাড়ছে। লম্বা ছুটি নিয়ে অনেকেই বেরিয়ে পড়েছেন এক অঙ্গরাজ্য থেকে অন্য অঙ্গরাজ্যে। বড়দিন উপলক্ষে পণ্যের রকমারি সমাহার নিয়ে বিপণিকেন্দ্রগুলো নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় খোলা থাকছে। ক্রেতা আকর্ষণের জন্য চলছে মূল্যছাড়ের সহনশীল প্রতিযোগিতা। সিয়ার্সে কর্মরত মোমিন রহমান জানালেন, আমেরিকার লোকজন ঝুড়ি ভরে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেখা পণ্য কিনছে। থিয়েটার হলগুলোতে ভিড় বাড়ছে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের।