সিলেটে সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বাকপ্রতিবন্ধী ষোড়শীকন্যা নাজুয়ার মৃত্যু রহস্য উদঘাটিত হয়নি। ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশসহ এলাকার সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর শিবগঞ্জ লামাপাড়াস্থ ৩৪নং বাসায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত আয়েশা সিদ্দিকা নাজুয়া (১৬) আরব আমিরাত প্রবাসী বিলাল আহমদের মেয়ে। বৃহস্পতিবার গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এসএমপির শাহপরান থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। জানা গেছে, আমিরাত প্রবাসী বিলাল মিয়ার প্রথম স্ত্রী সালমা বেগম স্বপ্নার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে স্বপ্না অন্য স্বামীর ঘরে চলে যায় এবং একমাত্র বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে নাজুয়া পিতার আশ্রয়ে থেকে যায়।
পরে পিতা বিলাল মিয়া চেমন বিবি (৩০) নামের আরেক মহিলাকে বিয়ে করে সংসার করতে থাকেন। তখন থেকে নাজুয়া তার সৎ মা চেমন বিবির সঙ্গেই থাকতো। ঘটনার দিন সকালে সৎ মা চেমন বিবির শোরচিৎকার শোনে আশপাশের লোকজনকে গিয়ে ঘরে তার সৎ মেয়ে নাজুয়ার গলায় ফাঁস দেয়া লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে নাজুয়ার মামাসহ স্বজনরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এরপর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করে। এ সময় সৎ মা চেমন বিবি দাবি করেন তার সৎ মেয়ে নাজুয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ঘটনায় মৃত নাজুয়ার মামা আবুল বাশার বাদী হয়ে এসএমপির শাহপরান থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন। মামলায় তিনি প্রাথমিকভাবে কাউকে সন্দেহ না করে ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর হত্যা নিশ্চিত হলে হত্যা মামলা করবেন বলে উল্লেখ করেন। এলাকাবাসীও নাজুয়ার মৃত্যু নিয়ে নানা সন্দেহের মধ্যে রয়েছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসএমপির শাহপরান(র.) থানার এসআই সোহেল রানা জানান, বাকপ্রতিবন্ধী আয়েশা সিদ্দিকা নাজুয়ার মৃত্যু রহস্যজনক বলেই থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। কিন্তু ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এখনও তার হাতে পৌঁছায়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.