আইপিএলে সাফল্যের দেখা কিছুতেই পাচ্ছেন না বলিউড তারকা প্রীতি জিনতা। একের পর এক হার দিয়ে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে আছে তাঁর দল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। গত মাসের শেষে দলের নেতৃত্বেও পরিবর্তন এনেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলারের পরিবর্তে অধিনায়কত্বের ভার দিয়েছেন ওপেনার মুরলি বিজয়ের হাতে। তাতেও কোনো লাভ হয়নি। গত সোমবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরের বিপক্ষে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে মাত্র ১ রানে হারের পর গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় প্রায় নিশ্চিতই হয়ে গেছে পাঞ্জাবের। আর দলের এই ব্যর্থতার পর কোচ সঞ্জয় বাঙ্গারকে একহাত নিয়েছেন প্রীতি। ডাগআউটে অনেকের সামনে তীব্র সমালোচনা করেছেন বাঙ্গারকে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েও মাত্র এক রানে হারের জন্য কোচ বাঙ্গারকেই আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মালিক প্রীতি। ১৭৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক মুরলি বিজয়ের ৮৯ রানের দারুণ ইনিংসের সুবাদে জয়ের পথে অনেকখানিই এগিয়ে গিয়েছিল পাঞ্জাব। ১৭তম ওভারে মুরলি আউট হয়ে যাওয়ার পর উইকেটে আসেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান ফারহান বেহারদিন। এই সিদ্ধান্তেই নাকি ক্ষেপে গেছেন প্রীতি। কোচের কাছে ক্ষুব্ধ হয়ে জানতে চেয়েছেন যে, কেন এই সময়ে ভারতীয় ক্রিকেটার অক্ষর প্যাটেলকে নামানো হয়নি। যেখানে আগের ম্যাচেই দুটি ছয় মেরে প্যাটেল খেলেছিলেন ৫ বলে ১৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। অন্যদিকে ৭ বলে ৯ রান করে অপরাজিত থাকলেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি বেহারদিন। তবে বাঙ্গার ও প্রীতি; দুজনেই এমন ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। নিজের ফেসবুক পেজে বাঙ্গার লিখেছেন, ‘অসম্মানজনক বা অবমাননাকর ভাষায় কোনো কথা আমাকে বলা হয়নি। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে কিংস ইলেভেন।’
মাঠের মধ্যে এ ধরনের বিতর্কে অবশ্য প্রীতি জিনতা এর আগেও জড়িয়েছেন। ২০১২ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষের ম্যাচে আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্তে ক্ষেপে গিয়েছিলেন এই বলিউড তারকা। মাঠের বাইরে তীব্র বাগবিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন আম্পায়ারের সঙ্গে।
আইপিএলে এখন পর্যন্ত একবারও শিরোপা জয়ের স্বাদ পায়নি প্রীতির কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। ২০১৪ সালে ফাইনাল পর্যন্ত গেলেও হেরে যেতে হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে। ২০০৮ সালের প্রথম আসরে গিয়েছিল সেমিফাইনাল পর্যন্ত। আর কোনোবারই পাঞ্জাব পেরোতে পারেনি গ্রুপ পর্বের বাধা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.