২০১৪ সালে একটি বৈঠক থেকে বেরিয়ে অং সান সুচির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ছবি : রয়টার্স
মিয়ানমারের রাজনীতিতে ঐতিহাসিক পুনর্গঠনের পর দেশটির ওপর থেকে বেশির ভাগ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বহু বছরের সামরিক শাসন থেকে বেরিয়ে এসে এ বছরের শুরুতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার মিয়ানমারের দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরপরই এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিল যুক্তরাষ্ট্র।
এরই মধ্যে জেনারেল ইলেকট্রিক ও কোকা-কোলার মতো বড় বড় মার্কিন কোম্পানি মিয়ানমারে তাদের ব্যবসা শুরু করেছে। সময়ের সঙ্গে এই বাণিজ্য সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশা করছেন দুই দেশের ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, কাঠ এবং খনিজ শিল্পকারখানা থেকে অবরোধ তুলে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে তা-ও খুব সীমিত পরিসরে। মিয়ানমারের বেশির ভাগ বড় ব্যবসায়ীই এখনো মার্কিন কালো তালিকাভুক্ত। শতাধিক ব্যক্তি এখনো ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে। ফলে এদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বাণিজ্য বা বিনিয়োগ হচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং দেশটির অর্থনীতির প্রবাহকে গতিশীল করতেই তাদের এসব সিদ্ধান্ত। মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি, বিশেষ করে রোহিঙ্গা মুসলিমদের অবস্থার দিকে নজর রাখছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। দেশটিতে গণতান্ত্রিক উত্তরণের বিষয়টি অব্যাহত রাখতে মিয়ানমার সরকারকে চাপ দিয়ে যাবে ওবামা প্রশাসন।
২০১১ সালে মিয়ানমারের ওপর বিভিন্ন ধরনের অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত সামরিক জান্তা সরকারকে চাপের মধ্যে রাখতেই এ সিদ্ধান্ত ছিল। তবে দেশটিতে গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর ধীরে ধীরে অবরোধ তুলে নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে মার্কিন বাণিজ্যের প্রসার ঘটানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত বছরের নভেম্বরে মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয় সু চির দল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.