বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১১৪ নম্বর এসপি বারইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকর্মী শিক্ষিকাকে অনৈতিক প্রস্তাব ও অশালীন আচরণের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেনকে সাময়িক
বরখাস্ত করা হয়। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অশোক কুমার সমাদ্দার বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলাম জানান, ১৫ মে স্কুল বন্ধকালীন প্রধান শিক্ষক মো. ইসমাইল হোসেন তার সহকারী শিক্ষিকা ফারজানা রহমান বিথীকে অফিসিয়াল কিছু কাজ করতে দেন। স্কুলে কোনো ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক না থাকার সুযোগে প্রধান শিক্ষক ফারজানা বিথিকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় প্রধান শিক্ষক একপর্যায়ে শিক্ষিকাকে জাপটে ধরেন। ওই দিন বিকালে শিক্ষিকা ফারজানা রহমান বিষয়টি লিখিতভাবে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনিসুর রহমানকে জানান। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে পরদিন সকালে স্থানীয় জনতা, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে প্রধান শিক্ষক মো. ইসমাইল হোসেনের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রধান শিক্ষককে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ ঘটনার ১০ দিন পর খুলনার প্রাথমিক শিক্ষা উপ-পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফার (স্মারক নং-৬৩৭/৫, তারিখ-২৫/৫/১৬) স্বাক্ষরিত এক স্মারকে প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেনকে বরখাস্ত করা হয়। এর আগেও এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.