প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গুপ্তহত্যা চালিয়ে সরকারের ক্ষতি করা যাবে না। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে। আজ বুধবার সকালে জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, গুপ্তহত্যা করে কেউ পার পাবে না। সম্প্রতি যেসব গুপ্তহত্যার ঘটনা ঘটছে, এসব হত্যাকাণ্ডের হিসাব কড়ায়-গণ্ডায় আদায় করা হবে।
সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ৪৫ বছর পরও যুদ্ধাপরাধের বিচার হচ্ছে। ইনডেমনিটি থাকার পরও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। তাই সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার হবেই।
সাংসদ ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর তারকাচিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ২০০১ থেকে ২০০৬ মেয়াদে বাংলাদেশকে পরিণত করেছিল হত্যা, অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন, দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র ও লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে। বাংলাদেশ পরিণত হয়েছিল দুর্নীতির চ্যাম্পিয়ন দেশ, সাংবাদিক নির্যাতনের দেশ আর জঙ্গিবাদের দেশ হিসেবে। তাদের অব্যাহত অপশাসনের ফলে গণতন্ত্র, মানুষের মৌলিক মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়।’
‘কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় আসার জন্য তাদের আজ্ঞাবহ রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিনকে প্রধান উপদেষ্টা করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করে। এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মানুষ প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে। তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলে। ওয়ান-ইলেভেনের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন নির্বাচনমুখী না হয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তখনই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে। আমি আমার অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে, অসুস্থ পুত্রবধূর পাশে থাকতে ২০০৭-এর ১৫ মার্চ আমেরিকা যাই। আমি যখন আমেরিকায়, তখনই আমার বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাঁদাবাজি ও খুনের মামলা দেয়। চিরদিন ন্যায় ও সত্যের জন্য সংগ্রাম করেছি। মিথ্যাকে ঘৃণা করেছি। অথচ আমার বিরুদ্ধে এত বড় মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়।’
‘সন্তানসম্ভবা কন্যা ও অসুস্থ পুত্রবধূকে রেখে মিথ্যা মামলা মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নিই। যখন সকলকে জানালাম যে দেশে ফিরে আসব, তখনই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন উপদেষ্টার ফোন পেলাম। তিনি বললেন, তাড়াহুড়া করে আসার প্রয়োজন নেই।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.