সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সাতটি নতুন সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে যাচ্ছে সরকার। সাতটি বিভাগীয় শহরে সাতটি ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং এসব ট্রাইব্যুনালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবল নিয়োগের অনুমোদন চেয়ে গত ৬ জুন আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশে সাইবার অপরাধ তীব্র হচ্ছে। ইন্টারনেটসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এ অপরাধ। দেশের বিভিন্ন স্থানে অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। এসব মামলা নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার বাইরে সাতটি বিভাগীয় শহরে সাতটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা প্রয়োজন বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে ঢাকায় সাইবার ট্রাইব্যুনাল নামের একটি ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। ২০১২ সালের সাইবার ক্রাইম আইনের ৬৮ ধারায় সরকার প্রয়োজন মতো ট্রাইব্যুনাল গঠনের এখতিয়ার রাখে। প্রস্তাবে সাতটি ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাব অনুমোদনের পাশাপাশি এ সব ট্রাইব্যুনালে জেলা জজ পদমর্যাদার সাতজন বিচারকের পদ সৃষ্টিসহ ট্রাইব্যুনালগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পদে লোকবল নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মুহাম্মদ জহিরুল হক আজ বুধবার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এ বিষয় এখনই কোনো মন্তব্য করা উচিত হবে না।
সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাবে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যনাল আইনের ৬৮ ধারার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের দ্রুত ও কার্যকর বিচারের উদ্দেশ্য এক বা একাধিক সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একজন দায়রা জজ বা একজন অতিরিক্ত দায়রা জজের সমন্বয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠিত হবে। এভাবে নিযুক্ত একজন বিচারক ‘বিচারক- সাইবার ট্রাইব্যুনাল’ হিসেবে অভিহিত হবেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র পেলেই আইন মন্ত্রণালয় বিভাগীয় শহরে ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করবে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের আইন শাখার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.