যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় সমকামীদের নৈশক্লাবে হত্যাযেজ্ঞের একদিন পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গুলির ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ওহাইও অঙ্গরাজ্যের একটি গ্যাস স্টেশনের পাশে দুজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বাকি দুজন ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ফ্রেসনো শহরের কিংস ক্যানিয়ন অ্যান্ড চেস্টনাট অ্যাভিনিউয়ের কাছে একটি বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, স্থানীয় সময় রোববার রাত ২টা ৫০ মিনিটে ওহাইও অঙ্গরাজ্যের হার্ভার্ড এভিনিউয়ের ভ্যালিরো গ্যাস স্টেশনের বাইরে গুলিতে দুজন নিহত হন। গুলির ঘটনার পর পরই নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আনুমানিক ২৪ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীর মরদেহ দেখতে পান। কারা এ হামলা চালিয়েছে তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।
এ ঘটনার আধা ঘণ্টা পর ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বাড়িতে চারজন গুলিবিদ্ধ হন। এদের মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডটির ব্যাপারেও বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, এ নিয়ে গত দুদিনে পরপর তিনটি বড় হামলার ঘটনা ঘটল। এতে দেশটির নাগরিকদের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
এদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ২০০৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আগ্নেয়াস্ত্রের হামলায় মারা গেছেন তিন লাখ ১৬ হাজার ৫৪৫ জন। ২০১৩ সালে সর্বশেষ আগেয়াস্ত্রের হামলায় নিহতের রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। দেখা যাচ্ছে, ২০১৩ সালেই রেকর্ড সংখ্যক ৩৩ হাজার ৬৩৬ জন মানুষ শুধু আগ্নেয়াস্ত্রের হামলায় নিহত হয়েছেন।
শুধু বন্দুক হামলার ঘটনায় বারাক ওবামা তার শাসনামলে এখন পর্যন্ত ১৬ বার বিবৃতি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন অঙ্গরাজ্যের আমপকুয়া কমিউনিটি কলেজে প্রকাশ্য বন্দুক হামলায় সাতজন আহতসহ ১০ জন নিহত হলে বিপর্যস্ত ওবামা জানান হামলাগুলো রুটিনমাফিক হচ্ছে।
হামলার হোতা বন্দুকধারীও মারা যান। কিন্তু তার মৃত্যু পুলিশের গুলিতে নাকি আত্মহত্যার কারণে হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। ওবামা বলেন, ‘হামলাগুলো রুটিনমাফিক হচ্ছে। আর এই বিবৃতি দেওয়ার মঞ্চে আমার প্রতিক্রিয়া, পরমুহূর্তের কথোপকথন রুটিনমাফিকই হচ্ছে। আমরা ক্রমশ অনুভূতিহীন হয়ে পড়ছি।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.