‘সারা দেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। মাদারীপুরের শিক্ষক রিপন চক্রবর্তীর ওপর হামলাও তারই প্রমাণ। ওই মহলটি দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িকতা ছড়াতে বেশ তৎপর। তারা এ কাজটায় সক্ষমতা অর্জনে বেশ চেষ্টা করছে।’
আজ শনিবার দুপুরে জঙ্গি হামলায় আহত গৌরনদীর বাসিন্দা এবং মাদারীপুরের সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজের শিক্ষক রিপন চক্রবর্তীকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, ‘২০০৫ সালে বাংলা ভাই, শেখ আবদুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে প্রতিহত করতে রাজশাহীতে ফজলে হোসেন বাদশার নেতৃত্বে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় সবাইকে এখন ঐক্যবদ্ধভাবে একটি দেয়াল গড়ে তুলতে হবে।’
সারা দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের পুরোহিত, খ্রিস্টান যাজক, সাহিত্যিক, ব্লগারদের ওপর হামলা চালাচ্ছে এবং তাদের হত্যা করা হচ্ছে। আর এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলেও জানান রাশেদ খান মেনন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো বলেন, রাজনৈতিকভাবে কোনো ঘটনা ঘটলে বিএনপি আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করে। কিন্তু হত্যাকাণ্ড ঘটলেও বিএনপি শোক প্রকাশ করে কেন বিবৃতি দিচ্ছে না তা আপনাদের জানা আছে। তাদের সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক খুব ঘনিষ্ঠ। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের নিরাপত্তাহীন করে মেরে ফেলা নতুন কিছু নয়। এটা চলে আসছে দেশ স্বাধীনের পর থেকেই।
এর আগে মন্ত্রী শিক্ষক রিপন চক্রবর্তীর কাছ থেকে ঘটনার দিনের বিস্তারিত শোনেন এবং তাঁর সুষ্ঠু চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শ দেন।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে বরিশাল-৩ আসনের সংসদ সদস্য শেখ মো. টিপু সুলতানসহ ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.