হাতিরঝিল কর্মব্যস্ত ঢাকাবাসির জন্য এক স্বস্তির নাম । এটি অধিবাসীদের কাছে এখন এক মনোরম পরিবেশের হাতছানি। এবার সে পরিবেশকে আরো উপভোগ্য করতে সঙ্গে যোগ হচ্ছে মনোমুগ্ধকর বিনোদন ব্যবস্থাও।
খোলা আকাশের নিচে ভাসমান এক মঞ্চে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে একসঙ্গে প্রায় দুই হাজার মানুষ উপভোগ করতে পারবেন নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ইতিমধ্যে শুরু হওয়া হাতিরঝিলের ওপর সে ভাসমান উন্মুক্ত মঞ্চ বা অ্যাম্ফিথিয়েটার তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। লক্ষ্য আসছে অক্টোবরেই তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশ প্লাজা থেকে কিছুটা সামনে এগোলেই চোখে পড়বে নির্মাণাধীন অ্যাম্ফিথিয়েটার। মাঝখানে তৈরি হয়েছে মঞ্চ। সে মঞ্চের সামনের অংশে বসানো হচ্ছে দর্শক গ্যালারি। তিনটি ভাগে খানিকটা গোলাকারভাবে বসছে লোহার তৈরি গ্যালারি। যার দর্শক ধারণক্ষমতা হবে দুই হাজারেরও বেশি।
জানা যায়, প্রকল্পটি নির্মাণের সময়-কাল চার মাস নির্ধারণ করা হলেও বর্ষাকাল হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত দ্রুততার সঙ্গে এগোচ্ছে না কাজ। তাই আরো দু’মাস সময় বেশি লাগতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
হাতিরঝিল প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর কাজী শাকিল হোসেন এ বিষয়ে জানান, হাতিরঝিল পর্যটন স্থান। একে বিশ্বমানের করতে সব ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছি আমরা। আশা করছি অক্টোবরের মধ্যেই ভাসমান অ্যাম্ফিথিয়েটার নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এখানে নাটক, কনসার্ট, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এমনকি আলোচনা সভারও আয়োজন করা যাবে। এর মাধ্যমে ভিন্ন এক সাংস্কৃতিক স্বাদ পাবেন রাজধানীবাসী।
এদিকে উন্মুক্ত মুক্তমঞ্চের খুব কাছেই নির্মাণ করা হচ্ছে ১০তলা অত্যাধুনিক গাড়ি পার্কিং ভবন। যেখানে গাড়ি পার্কিং সুবিধার পাশাপাশি একটি সম্মেলন কক্ষও থাকবে। থাকবে হাতিরঝিল পরিচালনা অফিস, হাতিরঝিলের ইতিহাস সংক্রান্ত জাদুঘর এবং রেস্টুরেন্ট সুবিধা।
মেজর শাকিল জানান, এ ভবনটির এক থেকে অষ্টম তলা পর্যন্ত পার্কিং সুবিধা থাকবে। নবম ও দশম তলা মিলে করা হবে সম্মেলন কক্ষ। নিচ তলায় অফিস কক্ষের পাশাপাশি এক্সিবিশন হল রাখা হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উন্মুক্ত মঞ্চ হলেও বৃষ্টি বা রোদ থেকে বাঁচতে ছাউনির ব্যবস্থাও থাকবে। যাতে যেকোনো সময় এখানে অনুষ্ঠান আয়োজন সম্ভব হয়।
এছাড়া হাতিরঝিলে একটি বিশ্বমানের অপেরা হাউস নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তবে বিষয়টি এখনো পরিকল্পনা পর্যায়ে। শিল্পকলা একাডেমিসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এটি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.