এখন থেকে মেস ভাড়া দিতে হলে পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। কারা মেসে থাকবে তাও ঠিক করে দেবে পুলিশ। এমন তথ্য জানিয়েছেন ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলতাফ হোসেন।
এসপি আলতাফ দাবি করেন, তাঁর জেলায় জঙ্গিদের কোনো আস্তানা নেই। এমনকি জেলা শহরের সোনালীপাড়ার (খোন্দকার পাড়া) অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট কাওছার আলীর বাড়িতে নিহত জঙ্গি নিবরাস ইসলাম ও তার কথিত খালাতো ভাই আবির রহমান ছিল এমন কোনো তথ্যও নেই তাঁদের কাছে।
আজ শনিবার সাংবাদিকদের এই কথা জানান এসপি আলতাফ হোসেন।
এ সময় এনটিভি অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসপি ঝিনাইদহের কাওছার আলীর মেস থেকে ঢাকার গুলশানে হামলা চালানোর বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, যেদিন ঢাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে সে দিনই ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালীচরনপুর ইউনিয়নের মধুপুর-কাষ্টসাগরা গ্রামের রাধা-মদন-গোপাল মঠের সেবায়েত শ্যামল নন্দ দাস বাবাজি (৬২) খুন হন। একই দিনে নিব্রাস ইসলাম (গুলশানে রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় নিহত) দুই ঘটনায় অংশ নিয়েছে এমন খবর বিভ্রান্তিকর।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, গুলশান হামলায় অংশ নেওয়া জঙ্গিরা এখানে অবস্থান করেছে এমন কোনো তথ্য প্রমাণ আজো পাননি তাঁরা। তবে বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
গণমাধ্যমে প্রচার করা খবরের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আলতাফ হোসেন বলেন, ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার জন্য প্রমাণহীন তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে।’
কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলায় নিহত জঙ্গি আবির রহমান ঝিনাইদহে ছিল না এমন দাবি করে পুলিশ সুপার বলেন, ‘বিষয়টি সাজানো।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এসপি বলেন, ‘পাশেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়- যে কারণে ছাত্রশিবিরের আধিপত্য এখানে বেশি। বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে ডাটাব্যাজ তৈরি করা হচ্ছে। এখন থেকে মেস ভাড়া দিতে হলে পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। কারা মেসে থাকবে তাও ঠিক করে দেবে পুলিশ।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.