নিজে জিততে না পারলে হয়তো বার্সেলোনা সতীর্থ লিওনেল মেসির হাতেই বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারটা দেখতে চাইবেন নেইমার। ব্রাজিলের অধিনায়ক হিসেবে ভোটটাও হয়তো মেসিকেই দেবেন। কিন্তু বাস্তবতা মেনে নিতেই হচ্ছে ব্রাজিলিয়ান এই তারকাকে। চ্যাম্পিয়নস লিগের পর ইউরো কাপ জয়ের ফলে এ বছরের ফিফা ব্যালন ডি’অর যে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোই জিততে যাচ্ছেন, সে ব্যাপারে অনেকটাই নিশ্চিত নেইমার।
২০০৮ সাল থেকেই বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারটা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন মেসি ও রোনালদো। গত আট বছরে মেসি বর্ষসেরা হয়েছেন পাঁচবার। রোনালদো তিনবার। এবারও হয়তো এ ঘটনার ব্যতিক্রম হবে না। এ সময়ের সেরা দুই ফুটবলারের একজনই হয়তো জিতে নেবেন বর্ষসেরার পুরস্কার। আর এ বছর রোনালদোর পাল্লাই বেশি ভারী বলে মনে করছেন নেইমার, ‘ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে শিরোপা জয় একটা বড় ভূমিকা রাখে। রোনালদো এ বছর চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরো কাপ জিতেছেন। কাজেই আমার মনে হয়, তিনিই ভালো অবস্থানে আছেন।’
ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের গত মৌসুমে ৪৮টি ম্যাচ খেলে ৫১টি গোল করেছিলেন রোনালদো। তাঁর দল রিয়াল মাদ্রিদ জিতেছিল চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। জাতীয় দলের হয়েও সফলতা পেয়েছেন পর্তুগিজ এই তারকা। অধিনায়ক হিসেবে পর্তুগালকে প্রথমবারের মতো জিতিয়েছেন ইউরো কাপ।
অন্যদিকে ইনজুরির কারণে ২০১৫-১৬ মৌসুমটা খুব একটা ভালো কাটেনি মেসির। বার্সেলোনার জার্সি গায়ে ৪৯ ম্যাচ খেলে করেছেন ৪১ গোল। কোপা আমেরিকার শিরোপাও জেতা হয়নি ফাইনালে চিলির কাছে হেরে। ফলে তাঁর পক্ষে বাজি ধরার মানুষ নিশ্চিতভাবেই বেশ কমে গেছে।
২০০৮ সালে রোনালদো প্রথমবারের মতো জিতেছিলেন ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার। এর পর অবশ্য টানা চারটি বছর তাঁকে হতাশ করেছিলেন মেসি। ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টানা চারবার নির্বাচিত হয়েছিলেন বর্ষসেরা। পরের দুটি বছর আবার নিজের করে নিয়েছিলেন রোনালদো। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে টানা দুবার জিতেছিলেন বর্ষসেরার পুরস্কার। আর ২০১৫ সালে হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করেছিলেন মেসি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.