থাইল্যান্ডে যৌন বাণিজ্য বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। এই লক্ষ্যে দেশটির খ্যাতনামা যৌনপল্লিগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশটির পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গত এক সপ্তাহে ব্যাংককের বড় যৌনপল্লিগুলোতে অভিযান চালাতে শুরু করেছে পুলিশ।
দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, নব্বইয়ের দশক থেকেই থাইল্যান্ডে যৌন ব্যবসা পুরোপুরি অবৈধ। তবে বিষয়টি এত দিন ছিল কেবল কাগজে কলমেই। নব্বইয়ের দশকেই যৌন ব্যবসার রমরমা কেন্দ্র হয়ে ওঠে থাইল্যান্ড।
বেসরকারি হিসেবে থাইল্যান্ডে এখন প্রায় এক লাখ ২৩ হাজার ৫৩০ জন যৌনকর্মী রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সরকারি কোনো পরিসংখ্যান নেই।
ভ্রমণপিপাসুদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় দেশ হচ্ছে থাইল্যান্ড। পর্যটনশিল্পের মানোন্নয়নের জন্য সরকার যৌনপল্লিগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পর্যটনমন্ত্রী কোবকারান ওয়াতানারাঙ্কুল।
দেশটির পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘পর্যটকরা এ ধরনের জিনিসের (যৌনকর্মী) জন্য থাইল্যান্ডে আসে না। তারা এখানকার সুন্দর সংস্কৃতি এবং প্রকৃতির আকর্ষণে আসে। আমরা থাইল্যান্ডে মানসম্মত পর্যটনশিল্প গড়ে তুলতে চাই। আমরা যৌন ব্যবসা বন্ধ করতে চাই।’
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, থাইল্যান্ডে যৌন ব্যবসা বন্ধ বেশ কঠিন হবে। কারণ দেশটির অনেক সরকারি কর্মকর্তা এবং পুলিশ এর থেকে আয়ের অংশ পেয়ে থাকে।
বিবিসি জানায়, থাইল্যান্ডের ব্যাংককে যৌনপল্লীর সংখ্যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশটির অর্থনীতির একটি বড় আয় আসে এই খাত থেকে। এ ছাড়া থাই বিবাহিত নারী-পুরুষের মধ্যে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার হার বিশ্বের সর্বোচ্চ ৫৬ শতাংশ। থাইল্যান্ডের অনেক সমাজে পুরুষের সঙ্গে স্ত্রী ব্যতীত সম্পর্ককে খারাপ চোখে দেখা হয় না। এ ছাড়া ধনীদের মধ্যে ‘মিয়া নোয়িস’ নামক একটি প্রথার মাধ্যমে স্ত্রী ব্যতীত অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ককে গ্রহণযোগ্য করা হয়েছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.