সৌরশক্তিতে চলা বিমান ‘সোলার ইমপালস-টু’ বিশ্ব ভ্রমণ শেষ করল আজ মঙ্গলবার। গোটা পৃথিবী ভ্রমণ শেষে বিমানটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবতরণ করেছে। এক ফোঁটা জ্বালানি ছাড়াই কোনো সৌরচালিত বিমানের পৃথিবী ঘুরে আসার ঘটনা বিশ্বে এটিই প্রথম। আর এই ঘটনাকে মানবসভ্যতার ইতহাসে এক অনন্য মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন স্বয়ং।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টায় সোলার ইমপালস টু সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে অবতরণ করে। ৪৮ ঘণ্টা আগে গত রোববার কায়রো থেকে সোলার ইমপালস টু বিমানের সর্বশেষ যাত্রা শুরু হয়েছিল।
শেষ ভ্রমণে সোলার ইমপালসের ককপিটে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের অভিযাত্রিক এবং প্রকল্প পরিচালক বাট্রান্ড পিকার্ড। কায়রো থেকে আবুধাবিতে যেতে বিমানটি পাড়ি দিয়েছে দুই হাজার ৭৬৩ কিলোমিটার। পাড়ি দিতে হয়েছে লোহিত সাগর, সৌদি আরবের বিশাল মরুভূমি।
আজ মঙ্গলবার ভোরে আবুধাবির আল-বাতিন বিমানবন্দরে ‘সোলার ইমপালস-টু’ নামার পর পরই হাততালি দিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন সেখানে থাকা এই প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা। গত বছর ৯ মার্চ এই বিমানবন্দর থেকেই শুরু হয়েছিল সৌরচালিত বিমানের বিশ্বভ্রমণ।
বিশ্বভ্রমণে চারটি মহাদেশ এবং দুটি মহাসাগর ও তিনটি সাগরের ওপর দিয়ে ৪২ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়েছে এই সৌরবিমানটি। সোলার ইমপালস পাড়ি দিয়েছে এশিয়া, উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও আফ্রিকা।
সোলার ইমপালস টু-এর পরিচালক বাট্রান্ড পিকার্ড বলেন,‘এটি যতটা না বিমান ইতিহাসের অর্জন, এর চেয়ে বড় অর্জন জ্বালানি শক্তির ইতিহাসের।’
বাট্রান্ড পিকার্ড আরো বলেন,‘আমাদের যথেষ্ট প্রযুক্তি এবং সমাধান আছে। অন্যভাবে মানুষ চিন্তা করতে পারে না বলে আমরা পৃথিবীকে দুষিত করতে পারি না।’
এএফপি জানায়, সোলার ইমপালস টু বিশ্বভ্রমণ শেষ করার আগে বাট্রান্ড পিকার্ডের সঙ্গে সরাসরি ভিডিওর মাধ্যমে যোগাযোগ করেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন। তিনি বলেন, এটি মানব সভ্যতার ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক দিন। প্রকল্পের সফলতায় এর সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান বান কি মুন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.