বহুল আলোচিত শাজনীন তাসনিম রহমান হত্যা মামলায় গৃহপরিচারক শহীদুল ইসলাম শহীদের মৃত্যুদণ্ড বহাল এবং চার আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার সকালে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচাপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- ঠিকাদার সৈয়দ সাজ্জাদ মইনুদ্দিন হাসান, তার সহকারী বাদল, গৃহপরিচারিকা এস্তেমা খাতুন মিনু ও তার বোন পারভীন।
এর আগে গত ১১ মে মামলার শুনানি শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষামাণ রেখেছিলেন আপিল বিভাগ।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম; বাদীপক্ষে সাবেক বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী আর আপিলকারীদের পক্ষে খন্দকার মাহবুব হোসেন শুনানি করেন।
শাজনীন তাসনিম রহমান ট্রান্সকম গ্রুপের কর্ণধার লতিফুর রহমানের মেয়ে। ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল গুলশানে নিজ বাড়িতে খুন হয় স্কলাস্টিকা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী শাজনীন।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুন্যালের বিচারক কাজী রহমত উল্লাহ শাজনীনকে ধর্ষণ ও খুনের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতার দায়ে তাদের বাড়ির সংস্কারকাজের দায়িত্বে নিয়োজিত ঠিকাদার সৈয়দ সাজ্জাদ মইনুদ্দিন হাসানসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
অপর পাঁচ আসামি হলেন- গৃহপরিচারক শহীদুল ইসলাম শহীদ, হাসানের সহকারী বাদল, গৃহপরিচারিকা এস্তেমা খাতুন মিনু ও তার বোন পারভীন এবং কাঠমিস্ত্রি শনিরাম মণ্ডল।
আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য ওই বছরই তা হাইকোর্টে আসে। এরপরই দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে আসামিপক্ষ।
ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০০৬ সালের ১০ জুলাই হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন। ফাঁসির আদেশ পাওয়া আসামি শনিরাম মণ্ডল খালাস পান।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করেন এ চার আসামি। ২০০৯ সালের ২৬ এপ্রিল এই চার আসামির লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া অপর আসামি শহীদুল জেল আপিল করেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.