রাজধানীর উত্তরায় সেনা কর্মকর্তার মা মনোয়ারা সুলতানাকে ১০০ ভরি স্বর্ণের জন্যই গলা কেটে খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১।
আজ শনিবার রাজধানীতে র্যাব ১-এর কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব ১-এর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ জানান, গত ৪ জুন উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর রোডের নিজ বাড়ি থেকে মনোয়ারা সুলতানার (৬৪) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মনোয়ারার স্বামীর নাম ডা. আবু মোহাম্মদ ইউসুফ। তাঁর মেজো ছেলে কর্নেল খালেদ বিন ইউসুফ সেনানিবাসে কর্মরত। আর বড় ও ছোট ছেলে দুজনই দেশের বাইরে থাকেন।
মাসুদ জানান, এই হত্যাকাণ্ডের পরই ওই বাসা থেকে লায়লা আক্তার লাবণ্যকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
লাবণ্যের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, তিনি ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। লাবণ্য মাঝেমধ্যেই নিহত মনোয়ারার কাছে যেতেন। তাঁকে খাবার দিতেন। একপর্যায়ে তিনি ১০০ ভরি স্বর্ণের কথা জানতে পারেন। ঘটনার দিন ওই বাসায় কাজের বুয়া না আসায় মনোয়ারাকে খাবার দেওয়ার জন্য বাসায় যান লাবণ্য। সে সময় লাবণ্যের সঙ্গে ছিলেন ওই বাড়ির দারোয়ান গোলাম নবী আবু ওরফে রবি। তাঁরা দুইন মিলে প্রথমে মনোয়ারাকে শ্বাসরোধ করে এবং পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন।
মাসুদ আরো জানান, খুনিরা হত্যার পর ওই বাসায় বিভিন্ন স্থানে স্বর্ণের জন্য খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু সমস্ত স্বর্ণ ব্যাংকের ভল্টে থাকায় তাঁরা খুঁজে পাননি। লাবণ্যের দেওয়া তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতেই গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থেকে দারোয়ান রবিকে আটক করা হয়েছে।
নিহত মনোয়ারার স্বজনরা জানিয়েছেন, মসজিদ নির্মাণ করার জন্য অনেক বছর ধরে এই ১০০ ভরি স্বর্ণ জমা করেছিলেন মনোয়ারা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.