ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর তুরস্কে সর্বদলীয় ‘গণতন্ত্র ও শহীদ’ সমাবেশে লাখ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছে। এটাকে তুরস্কের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবেশ বলছেন বিশ্লেষকরা।
গত ১৫ জুলাই তুর্কি সেনাবাহিনীর একটি অংশ ক্ষমতা গ্রহণের চেষ্টা করে। কিন্তু জনগণের অবিশ্বাস্য প্রতিরোধের মুখে তারা ব্যর্থ হয়।
অভ্যুত্থান চেষ্টার ওই রাত থেকে প্রত্যেক রাতে তুরস্কের জনগণ ‘গণতন্ত্র পাহারা’র সমাবেশ করে আসছিল। ওই কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণায় ইস্তাম্বুলে রোববারের এই সর্বদলীয় সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টি ছাড়াও বিরোধী দলগুলোর নেতারা যোগ দেন। অবশ্য কুর্দি সমর্থক পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (এইডিপি) কে সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
তুরস্কের ইতিহাসে এটাকে সবচেয়ে বড় সমাবেশ বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। এতে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ অংশ নেয়। সমাবেশস্থল ছাড়িয়ে আশপাশের এলাকায়ও বহু মানুষ অবস্থান নেয়।
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান ও প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম ছাড়াও সমাবেশে বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইপি) ও ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টির প্রধানরা বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আর্মি চিফ অব স্টাফ জেনারেল হালুসি আকার। তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে মসজিদ, আদালত এবং সেনা ব্যারাকের বাইরে রাখা উচিত।
গত ১৫ জুলাইয়ের ওই ব্যর্থ অভ্যুত্থানে ২৪০ জন গণতন্ত্রকামী নিহত হন। আহত হন ২ হাজার ২০০ জন। অভ্যুত্থান চেষ্টার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের অনুসারীদের দায়ী করা হচ্ছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.