ভারতের আসাম রাজ্য থেকে বন্যার জলে ভেসে আসা বন্য হাতিটি ১৯ দিন পর গত মঙ্গলবার সকালে মারা যায়। মৃত্যুস্থল কয়ড়া গ্রামের আলহাজ বরকত উল্লা’র জমিতে হাতিটিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত শেষে দাফন করা হয়েছে। হাতিটির সমাধিস্থল থেকে অসৎ উদ্দেশ্যে কোনো দুষ্কৃতকারী বা অন্য কোনো প্রাণী দ্বারা তুলে ফেলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট না হয় এ লক্ষ্যে গ্রাম পুলিশের পাহারা ও তদারকি টিম গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন। হাতির সমাধিস্থল সার্বক্ষণিক পাহারা দেয়ার জন্য ৮ জন গ্রাম পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। টহলে থাকছে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ, তদারকিতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কর্মকতা, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয়রা। সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী একটি কর্ম বণ্টন তালিকা করে গতকাল
বুধবার এক পত্র জারি করেছেন। হাতিটি গত ২৮শে জুন ভারতের আসাম রাজ্য থেকে বানের পানিতে ভেসে আসে। পরে ব্রহ্মপুত্র নদ বেয়ে কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে। এরপর বগুড়ার সারিয়াকান্দি হয়ে যমুনা নদীর পানিতে ভেসে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের দুর্গম ছিন্নারচরে ১১ দিন অবস্থান করে। ২৭শে জুলাই হাতিটি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় আসে।
তদন্ত কমিটি গঠন
ডাট প্রয়োগের ৪ দিন পর হাতির মৃত্যু। এর কারণ উদঘাটনে গতকাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, সহকারী বন সংরক্ষক জামালপুরের আব্দুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্ত টিমে অন্যান্যরা হলেন-ওয়াল্ড লাইফ ইন্সপেক্টর,ওয়ার্ল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিট, ঢাকার অসীম মল্লিক, বন্যপ্রাণি ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা, বন্যপ্রাণি ব্যাবস্থাপনা সংরক্ষণ বিভাগ মো. কামরুজ্জামান, কক্্রবাজার বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে’র ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোফিজুর রহমান, গাজীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. নিজামউদ্দিন। বিষয়টি সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী নিশ্চিত করেন।