জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন ব্যক্তিগতভাবে সংস্থাটির পরবর্তী প্রধান হিসেবে একজন নারীকেই চান। এমনটা হলে জাতিসংঘ ৭০ বছরের ইতিহাসে প্রথম একজন নারী মহাসচিব পাবে।
মুন বলেন, ৮ জন পুরুষ মহাসচিবের পর এটাই প্রকৃত সময় কোনো নারীর জাতিসংঘের মহাসচিব হওয়া। তিনি আরও বলেন, নারীরা যদি রাজনীতি, অর্থনীতি, ব্যবসা এমনকি জীবনের সব ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে পারেন তাহলে জাতিসংঘে পারবেন না কেন? খবর এপি ও বিবিসির।
তবে বিষয়টি তার ওপর নির্ভর করে না উল্লেখ করে জাতিসংঘের দু’বারের মহাসচিব বান কি মুন বলেন, অনেক বিশিষ্ট ও যোগ্য নারী রয়েছেন যারা পৃথিবীকে বদলে দিতে পারেন। তবে এ ব্যাপারে কারও নাম উল্লেখ করেননি তিনি।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী ৫ ও অস্থায়ী ১০ সদস্যের সুপারিশ এবং সংস্থাটির ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের ভোটাভুটির মাধ্যমে মহাসচিব নির্বাচন করা হবে। নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবিত সময়ানুসারে আগামী ২৯ আগস্ট অন্তত একবার এবং সম্ভব হলে সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয়বার প্রস্তুতিমূলক ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে।
দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, জাতিসংঘের পরবর্তী প্রধান নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে ইতিমধ্যে দুটি ভোটাভুটির আয়োজন করেছে নিরাপত্তা পরিষদ। প্রস্তুতিমূলক এ নির্বাচনে বিশ্বের ১১ জন অংশ নেন।
এদের মধ্যে পাঁচজন রয়েছেন নারী। তারা হলেন- পর্তুগিজের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার সাবেক প্রধান অ্যান্টোনিও গুয়েটারেস, ইউনেস্কোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বুলগেরিয়ার রাজনীতিক ইরিনা বোকোভা, নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্ক, কোস্টারিকার কূটনীতিক ক্রিস্টিনা ফিগারেস এবং মলদোভার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী নাটালিয়া ঘেরম্যান।
এদিকে জাতিসংঘের পরবর্তী মহাসচিব যাতে একজন নারী হতে পারে সেজন্য প্রচারণা করছে ৫৬টি দেশের একটি সংগঠন। জাতিসংঘের মহাসচিব পদে নারীদের অংশগ্রহণ না থাকায় পুরুষতান্ত্রিকতাকে দায়ী করেছেন মহাসচিব পদে প্রতিদ্বন্দ্বী এক নারী প্রার্থী ও আর্জেন্টিনার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুশানা মালকোরা। তিনি বলেন, এখনও নারীদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট ভোটাভুটি হচ্ছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.