যশোরের শার্শার পুটখালি ইউনিয়নের খলশী গ্রামের একটি বাড়ি থেকে লিপি আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বিকাল ৪টার দিকে ওই গ্রামের রেজাউলের ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী মামুন ও তার কথিত বান্ধবী নাহিদাকে আটক করে থানায় এনেছে পুলিশ। মৃত লিপি আক্তার শার্শা উপজেলার নমাজ গ্রামের গোলাম হোসেনের মেয়ে। স্থানীয়রা জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে লিপি খাতুনের বিয়ে হয় শার্শার ভুলোট গ্রামের মাজহারুল ইসলামের ছেলে মামুন হোসেনের (২৮) সঙ্গে। পরে এই দম্পতি খলশী গ্রামের রেজাউলের বাড়িতে ভাড়া থাকে। সম্প্রতি মামুন বেনাপোলের ভবেরবেড় এলাকার নাহিদা খাতুন নামে এক তরুণীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াও হয়। গতকাল সকালে নাহিদাকে নিয়ে মামুন বাসায় হাজির হলে বিবাদ চরম আকার নেয়। এ সময় মামুন ও নাহিদা মিলে লিপির ওপর অত্যাচার চালায়। একপর্যায়ে তাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে লাশ ঘরের বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়ে হত্যাকাণ্ডকে ‘আত্মহত্যা’ বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে মামুন। খবর পেয়ে পোর্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। পুলিশ লিপির স্বামী মামুন ও তার কথিত প্রেমিকা নাহিদাকে আটক করেছে। লিপির বাবা গোলাম হোসেন দাবি করেছেন, পরিকল্পিতভাবে তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অপূর্ব হাসান জানান, এলাকাবাসীর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে এসআই সফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে থাকা লিপির লাশ উদ্ধার করেন। এ সময় তার স্বামী ও বান্ধবীকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.