সিরিয়ার ৫ বছর বয়সী শিশু ওমরান দাকনিশের ছবি গণমাধ্যমের কল্যাণে এখন দুনিয়ার সবার জানা। বিমান হামলায় স্তব্ধ ওমরান কাঁদতেই ভুলে গিয়েছিল। টেরই পায়নি তার পুরো শরীর গড়িয়ে রক্ত পড়ছে। এমন ভিডিও ফুটেজ সারাবিশ্বে ঝড় তুলেছে। অনলাইন দুনিয়া ফের সরগরম হয়ে উঠেছে শিশু ও যুদ্ধ নিয়ে। তবে ওমরান দাকনিশই প্রথম সিরিয়ান শিশু নয়, যার ছবি এ মাসে টুইটারে লক্ষ লক্ষ বার শেয়ার করা হয়েছে। এ মাসেই টুইটারে ব্যাপক প্রচারণার সুবাদে সিরিয়ার মাদায়া শহরে এক আহত কন্যাশিশুকে উদ্ধার করা হয়। ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষ সেভঘিনা নামে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছেন, যাতে করে ১০ বছর বয়সী ঘিনা ওয়াদিকে উদ্ধার করা হয়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, নিজের মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে গিয়ে স্নাইপারের গুলিতে আহত হয় ঘিনা। সিরিয়ার সরকার প্রথমদিকে ওয়াদিকে চিকিৎসার জন্য মাদায়া শহর ছেড়ে বেরিয়ে যেতে দিতে সম্মত হয়নি। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও জাতিসংঘের মতো সংস্থার চাপের মুখে সরকার নতিস্বীকার করে। একপর্যায়ে সিরিয়ান রেডক্রিসেন্ট দামেস্কে ঘিনার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়। ওয়াদির গল্প ছড়িয়ে যাওয়ার পর এ ধরনের আরো শিশুকে উদ্ধারের আবেদন উঠে আসে টুইটারে। ১৫ই আগস্ট একটি ভিডিওতে ইয়ামান ইজ আল-দিন নামে এক শিশুর কাহিনী উঠে আসে। তার বাড়িও মাদায়া শহরে। হ্যাশট্যাগ রেভুলিউশন নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে প্রথম শেয়ার হওয়ার পর তাকে নিয়েও আলোচনা বাড়তে থাকে। একটি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিল ইয়ামান। ফেসবুকে ওই ভিডিওটি সাড়ে ৫ হাজারেরও বেশিবার দেখা হয়েছে। ভিডিওর শেষে জাতিসংঘ ও রেডক্রিসেন্ট ডাক্তারদের আবেদন ছিল ইয়ামানকে বাঁচানোর। এমন আরেকটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় নিসরিন আল-শামা নামে এক কন্যাশিশুর করুণ কাহিনী। জাতিসংঘের শিশু সংশ্লিষ্ট সংস্থা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে হাজার হাজার শিশু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে। জাতিসংঘের সতর্কবার্তা সত্ত্বেও পরিবর্তন সামান্যই।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.