দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে নাটোরের তিন যুবলীগ কর্মীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে থানার পুলিশ। সোমবার সকালে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের পাশে উপজেলার কলাপাড়া নামক স্থানে পুলিশ বক্সের ৫০০ গজ পূর্ব দিকে একটি আমবাগান থেকে লাশ তিনটি উদ্ধার করা হয়। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) পরিচয়ে ওই তিন যুবককে শনিবার সন্ধ্যায় নাটোরের তকেয়া বাজার এলাকা থেকে তুলে নেয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন নিহত এক যুবকের মা। এরা হলেন নাটোরের আবদুল্লাহ আকন্দ (২৮), রেদোয়ান সাবি্বর (২৬) ও সোহেল রানা (২৭)। এদের মধ্যে দুজনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই তিন যুবক নাটোর পৌর শাখার যুবলীগ কর্মী।
নাটোর যুবলীগের সংবাদ সম্মেলন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত তিন যুবককে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে নাটোর যুবলীগ। সোমবার দুপুরে নাটোর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় জেলা, উপজেলা ও পৌর যুবলীগ। তাদের অভিযোগ, সংগঠনের তিন নেতা-কর্মীকে দুষ্কৃতকারীরা নাটোর থেকে অপহরণ করে হত্যা করার পর দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ এলাকায় ফেলে রেখে গেছে। তারা সরকারের কাছে দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন। সে সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক, পৌর যুবলীগের আহবায়ক সাঈম হোসেন ও যুগ্ম আহবায়ক হাসিবুল হাসান। সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, পৌর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য রেদোয়ান সাবি্বর (৩২) শনিবার রাতে যুবলীগ কর্মী আবদুল্লাহ (২৭) ও সোহেল হোসেনকে (২৫) নিয়ে ব্যবসার কাজে সদর উপজেলার তকেয়া বাজারে যান। সেখানে এক চায়ের দোকানে বসে থাকার সময়ে রাত ১১টার দিকে ১৫-১৬ জন মুখোশ পরা দুষ্কৃতকারী তাদের জোর করে সাদা ও কালো রঙের দুটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাদের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। সোমবার সকালে গণমাধ্যমে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট এলাকায় তিন যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়ার খবর পেয়ে তারা যোগাযোগ করে নিশ্চিত হন যে ওই মরদেহগুলো নিখোঁজ যুবলীগ নেতা-কর্মীদের। সাধারণ সম্পাদক এটাকে পরিকল্পিত হত্যাকা- হিসেবে দাবি করে বলেন, কারা তাদের অপহরণ করে হত্যা করেছে, তা তদন্ত করে দেখা হোক। দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে পৌর যুবলীগের আহবায়ক সাঈম হোসেন বলেন, নেতা-কর্মীরা নিখোঁজ হওয়ার পর একজনের পক্ষে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে অনুরোধ জানিয়েছি।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.